[ New ] Final Model Activity Task Class 6 Part 8 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Free
আমাদের প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা, তোমাদের সুবিধার জন্য আমরা আবারো পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ দ্বারা ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য October মাসে Model Activity Task Class 6 Part 8 দেওয়া হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন বিষয় থেকে দেওয়া হয়েছে। তোমাদের সুবিধার জন্য এটির ( Model Activity Task Class 6 Part 8 ) সমস্ত প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হলো। এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ( Model Activity Task Class 6 Part 8 ) থেকে হয়তো তোমাদের পরবর্তী পরীক্ষার মূল্যায়ন হতে পারে তাই এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক খুব গুরুত্ব সহকারে করবে।
আমাদের ওয়েবসাইট Amartarget.com এ সবসময় যেকোনো শ্রেণীর Model Activity Task খুব দ্রুততার সাথে আপলোড করা হয়ে থাকে । পরবর্তী Model Activity Task Class 6 Part 9 সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল, ফেইসবুক পেজ Join করে রাখো।
Final Model Activity Task Class 6 Part 8 All Subject
- Final Model Activity Task Class 6 Part 8 All Subject
- Model Activity Task Class 6 Part 8 Bengali
- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 বাংলা
- Model Activity Task Class 6 Part 8 English
- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 ইংলিশ
- Model Activity Task Class 6 Part 8 History
- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 পরিবেশ ও ইতিহাস
- Model Activity Task Class 6 Part 8 Geography
- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 পরিবেশ ও ভূগোল
- Model Activity Task Class 6 Part 8 Science
- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 পরিবেশ ও বিজ্ঞান
- Model Activity Task Class 6 Part 8 Swasthyo o Sarirsikhya
- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
- Model Activity Task Class 6 Part 8 Math
- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 গণিত
Model Activity Task Class 6 Part 8
Model Activity Task Class 6 Part 8 Bengali
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 বাংলা
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : ১ × ৫ = ৫
১.১ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় ‘শুকনো খড়ের আঁটি’ রয়েছে
(ক) অশ্বত্থ গাছের নীচে
(খ) মাঠে
(গ) গোলাঘরে
(ঘ) নৌকোর খোলে
উত্তরঃ নৌকোর খোলে
Model Activity Task Class 6 Part 8
১.২ ‘তাকে আসতে বলবে কাল।’— আসতে বলা হয়েছে।
(ক) শংকর সেনাপতিকে
(খ) অভিমন্যু সেনাপতিকে
(গ) বিভীষণ দাশকে
(ঘ) পঞ্চানন অপেরার মালিককে
উত্তরঃ অভিমন্যু সেনাপতিকে
১.৩ ‘আকাশে নয়ন তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে
(ক) বুনো পাহাড়
(খ) মরুভূমি
(গ) প্রভাত সূর্য
(ঘ) পাইন গাছ
উত্তরঃ পাইন গাছ
১.৪ ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা
(ক) নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
(খ) অরুণ মিত্র
(গ) শক্তি চট্টোপাধ্যায়
(ঘ) অমিয় চক্রবর্তী
উত্তরঃ শক্তি চট্টোপাধ্যায়
১.৫ পূর্ববঙ্গের মাহুতের ভাষায় ‘মাইল’ শব্দের অর্থ
(ক) পিছনে যাও
(খ) সাবধান
(গ) বস
(ঘ) কাত হও
উত্তরঃ সাবধান
২. খুব সংক্ষেপে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : ১×১০ = ১০
২.১ “ও তো পথিকজনের ছাতা – পথিকজনের ছাতা কোন্টি?
উত্তরঃ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ভরদুপুরে কবিতায় অশোথ গাছ টিকে পথিক জনের ছাতা বলা হয়েছে।
২.২ এখানে বাতাসের ভিতর সবসময় ভিজে জলের ঝাপটা থাকে।’— কেন এমনটি হয়?
উত্তরঃ এখানে বাতাসের ভিতর সব সময় ভিজে জলের ঝাপটা থাকে কারণ পাঁচ সাত মাইলের মধ্যে বঙ্গপসাগর রয়েছে।
২.৩ ‘মন-ভালো-করা’ কবিতায় কবি রোদ্দুরকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তরঃ এখানে বাতাসের ভিতর সব সময় ভিজে জলের ঝাপটা থাকে কারণ পাঁচ সাত মাইলের মধ্যে বঙ্গপোসাগর রয়েছে।
২.৪ ‘আমি কথা দিয়ে এসেছি’ – কথক কোন কথা দিয়ে এসেছেন?
উত্তরঃ কথক কথা দিয়ে এসেছেন যে তাঁকে আবার ভিজে ঘাসের উপর
দিয়েই যেতে হবে।
২.৫ ‘ভাদুলি’ ব্রত কখন উদযাপিত হয়?
উত্তরঃ ভাদুলি ব্রত বর্ষাকালের শেষের দিকে মেয়েরা করে থাকে। বৃষ্টির পরে আত্মীয় স্বজনদের সমুদ্রযাত্রা থেকে স্থলপথে নিজেদের বাসায় ফিরে আসার কামনায় তারা এই ব্রত করে। নদীর পাড়ে নানা আলপনা এঁকে, গান গেয়ে নদী মাতা কে জানায় তাদের প্রার্থনা।
২.৬ সন্ধ্যায় হাটের চিত্রটি কেমন?
উত্তরঃ কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত তার ‘হাট’ কবিতায় সন্ধ্যাবেলার বাস্তব চিত্রটুকু তুলে ধরেছেন। দূরের গ্রামগুলিতে প্রদীপ জ্বললেও হাট অন্ধকারে থেকে যায়। ক্লান্ত কাকের পাখনায় ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে আসে। হাটের দোচালা দোকানগুলি যেন চোখ বুজে বিশ্রাম নেয়, শুধু শোনা যায় জীর্ণ বাঁশের বুকে বাতাসের ফুঁ তে ওঠা বিদ্রূপের সুর।
Model Activity Task Class 6 Part 8
২.৭ কোন্ তিথিতে রাঢ়বঙ্গের কৃষিজীবী সমাজের প্রাচীন উৎসব গো-বন্দনা, অলক্ষ্মী বিদায়, কাঁড়াখুঁটা, গোরুখুঁটা প্রভৃতি পালিত হয় ?
উত্তরঃ কালীপূজা অর্থাৎ কার্তিকের অমাবস্যা তিথিতে রাঁঢ়বঙ্গের কৃষিজীবী সমাজের প্রাচীন উৎসব গো- বন্দনা,অলক্ষী বিদায়, কাঁড়াখুটা, গরুখুঁটা প্রভৃতি পালিত হয়। এই উৎসবের সময় সমস্ত ঘরদোর পরিষ্কার করে আলপনা দিয়ে সাজানো হতো।
২.৮ কেমন যেন চেনা লাগে ব্যস্ত মধুর চলা’- কবি কার চলার কথা বলেছেন?
উত্তরঃ কবি অমিয় চক্রবর্তী তাঁর ‘পিঁপড়ে’ কবিতায় ছোট ছোট পিঁপড়েদের চলার কথা বলেছেন। পিঁপড়ে গুলোর নিজেদের মধ্যে কথা না বলে, ব্যস্ত ভাবে সারি দিয়ে চলা- কবির মনে মুগ্ধতার সৃষ্টি করে।
২.৯ সে বাড়ির নিশানা হয়েছে আমগাছটি’— ‘ফাঁকি’ গল্পে গোপালবাবু কীভাবে তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানাতেন।
উত্তরঃ ‘ফাঁকি’ গল্পে আমরা দেখতে পাই গোপাল বাবুকে কেউ তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলতেন – কাঠজোড়ি নদীর ধার বরাবর পুরীঘাট পুলিশের ফাঁড়ির পশ্চিমদিকে যেখানে পাঁচিলের মধ্যে আমগাছ দেখবেন- সেইখানে আমাদের বাড়ি। এভাবেই আমগাছটি তাদের বাড়ির নিশানা বা ল্যান্ডমার্ক হয়ে উঠেছিল।
২.১০ তুমি যে কাজের লোক ভাই। ওইটেই আসল। কে, কাকে, কখন একথা বলেছিল?
উত্তরঃ ‘তুমি যে কাজের লোক ভাই! ওই টেই আসল—- এই কথাটি ঘাসের পাতা পিঁপড়ে কে বলেছিল। বৃষ্টি কমে এলে, পিঁপড়েটি তার প্রাণ বাঁচানারে জন্য ঘাসের পাতাটিকে ধন্যবাদ জানালে সেই সময় ঘাসের পাতা কথাটি বলেছিল।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:
৩.১ ‘দাঁড়ায়ে রয়েছে পামগাছ মরুতটে’- কে এমন স্বপ্ন দেখে? কেন সে এমন স্বপ্ন দেখে?
উত্তরঃ বরফের দেশের পাইন গাছে সুখেই থাকে। সে মরুতটে থাকা পাম – গাছের কষ্টের স্বপ্ন দেখে। মরুভূমির তত্ব বালু রাশির দাবদাহ পাম গাছেকে সহ্য করতে হয়, ফলে সে খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন কাটায়। পক্ষান্তরে সুখী পাইন গাছ মাথা উঁচু করে পাম গাছের দুর্দশার স্বপ্ন দেখে।
৩.২ ‘… তাই তারা স্বভাবতই নীরব।”- কাদের কথা বলা হয়েছে? তারা নীরব কেন?
উত্তরঃ এখানে স্বভাবতই নীরব বলতে জঙ্গলের পশুদের কথা বলা হয়েছে। জঙ্গলের পশুকে সর্বদাই প্রাণ বাঁচিয়ে চলতে হয়, তাই তারা স্বভাবতই নীরব।
৩.৩ ‘এরা বাসা তৈরি করবার জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজতে বের হয়।’– উপযুক্ত স্থান খুঁজে নেওয়ার কৌশলটি ‘কুমোরে-পোকার বাসাবাড়ি’ রচনাংশ অনুসরণে লেখো।
উত্তরঃ কুমোরে পোকার ডিম পাড়ার সময় হলে বাসা তৈরি উপযুক্ত স্থান খোঁজে | ভালো করে বারংবার পর্যবেক্ষণ করে কোন স্থান নির্বাচন করে কাদামাটির সন্ধানে বের হয়| পুকুর, নালা বা ডোবা থেকে ভিজে মাটি এনে বাসা বানায়। একটি কু’ 217 তৈরি হয়ে গেলে তার মধ্যে উপযুক্ত পরিমাণে খাদ্য অর্থাৎ পোকামাকর ভর্তি করে তাতে একটি মাত্র ডিম পেরে মুখ বন্ধ করে, তারই গা ঘেঁষে নতুন কুঠুরি নির্মাণ করে|
৩.৪ ‘ধানকাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য।’ — ‘মরশুমের দিনে’ গদ্যাংশ অনুসরণে সেই দৃশ্য বর্ণনা করো।
উত্তরঃ ধান কাটার পর মাঠে যতদূর দৃষ্টি যায়, চোখে পড়ে রুক্ষ মাটির শুকনো ও কঙ্কালসার চেহারা এবং তারসাথে আলগুলি বুকের পাঁজরের মতো চেহারা। রোদের দিকে তাকানো যায় না। গোরুর গাড়ির চাকায়, মানুষের পায়ে মাটির ডেলা গুঁড়ো হয়ে রাস্তা হয়েছে আর সেই ধুলো কখনও ঘূর্ণিঝড়ে বা দমকা হাওয়ায় উড়ে এসে চোখে-মুখে ভরে যায়।
বেলা বাড়তেই মাটি গরম হয়ে ওঠে। যারা মাঠে যায়, তারা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরে। পুকুর, নদী, খাল, বিল শুকিয়ে যায়। গাছে পাতা থাকে না। আগুনের হলকায় চারিদিকে হাহাকার শোনা যায়। রাখালেরা ছড়ি-পাঁচন হাতে বট অশ্বত্থ, আম-কাঁঠালের ছায়ায় ঘোরে, যেখানে হাতের কাছে একটু জল পাওয়া যায়।
৩.৫ দিন ও রাতের পটভূমিতে হাটের চিত্র ‘হাট’ কবিতায় কীভাবে বিবৃত হয়েছে তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ‘হাট’ কবিতায় দূরে দূরে ছড়ানো দশ-বারোখানি গ্রামের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি হাটের ছবি ফুটে উঠেছে।
সারাদিন এই হাট অগুনতি মানুষের কোলাহলে মুখরিত থাকে, পণ্যসামগ্রী কেনা ও বেচা নিয়ে নিরন্তর দরাদরি চলে। নদীর এক পারের মানুষ অন্য পারে বেচার জন্যে জিনিস নিয়ে এলে খরিদ্দারেরা তাকে ঘিরে ধরে। সকলেই যাচাই করে নিতে চায়। তাদের হাতের ছোঁয়ায় সকালে গাছ থেকে পাড়া ফল বিকেলে মলিন হয়ে যায়।
হাটে প্রভাতে যেমন ঝাঁট পড়ে না, তেমনই সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বলে না। বেচাকেনা সেরে বিকেলবেলায় যখন সকলে ঘরে ফিরে যায়, তখন বকের পাখা সঞ্চালনের সঙ্গে প্রকৃতির বুকে নেমে আসে নিবিড় অন্ধকার।
৩.৬ ‘মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র’ রচনায় সাঁওতালি দেয়ালচিত্রের বিশিষ্টতা কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ মূলত আদিবাসী সমাজেই দেয়ালচিত্র অঙ্কনের চল আছে। দেয়ালচিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ – (১) মেয়েরা এই চিত্র অঙ্কন করে (২) বিষয়বস্তু নির্বাচন ও উপাদান সংগ্রহ তারাই করে (৩) দেয়ালচিত্রগুলি অস্থায়ী। (৪) আশ্বিনের দুর্গাপূজা ও কার্তিকের অমাবস্যা উপলক্ষ্য করে দেয়ালচিত্র আঁকা হয় (৫) লালচে গিরিমাটি বা কখনও দুধেমাটি উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় (৬) বিচিত্র বর্ণের সমাবেশ লক্ষ করা যায় (৭) দেয়ালচিত্র সর্বদা প্রকাশ্য স্থানে অঙ্কন করা হয় (৮) লতাপাতা, ফুল, পাখি এসব দেয়ালচিত্রে উপস্থাপিত হয়।
৩.৭ ‘পিঁপড়ে’ কবিতায় পতঙ্গটির প্রতি কবির গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে। — আলোচনা করো।
উত্তরঃ ‘পিঁপড়ে’কবিতায় কবি পিঁপড়েকে সহানুভূতির চোখে দেখেছেন। তিনি প্রথমেই বলেছেন, ‘আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে। এই ‘আহা, ‘ছোটো’কথাগুলি থেকে বোঝা যায়, পিঁপড়ের প্রতি তাঁর ভালোবাসা অভ্যস্ত গভীর। শুধু তাই নয়, এই পিঁপড়ে আপন মনে চারিদিকে ‘ঘুরুক, ‘দেখুক এই কথাগুলির মাধ্যমেও পিঁপড়ের প্রতি কবির গভীর দরদ প্রকাশ পায়। সাধারণত লোকে যেখানে এই তুচ্ছ পিঁপড়েকে পায়ে মাড়িয়ে চলে কিংবা নানা ওষুধ দিয়ে মেরে ফেলে, কবি সেখানে পিঁপড়ের প্রতি এতটুকু বিরূপ মনোভাব প্রকাশ না করে আদর-ভালোবাসার চোখে তাদের বর্ণনা করেছেন।
৩.৮ ‘ফাঁকি’ গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র একটি নিরীহ, নিরপরাধ আমগাছ।’— উদ্ধৃতিটি কতদূর সমর্থনযোগ্য?
উত্তরঃ লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের লেখা ‘ফাঁকি’ গল্পের কেন্দ্রবিন্দু এটি আম গাছ। গোপালের বাবার তৈরি একটি কলমি আমগাছের চারা গাছটি বসানোর পর ধীরে ধীরে নিজের চেষ্টায় তা বেড়ে উঠেছিল এবং বিশাল জায়গা জুড়ে তার আভিজাত্য বিস্তার করেছিল।
বাড়ির লোকজন যেমন প্রতিমুহূর্তে তার দেখাশোনা করত তেমন পাড়ার লোক বা ছেলেরাও তার নীচে খেলাধুলো, গল্প করা, বই পড়া, দোল খাওয়া আরম্ভ করেছিল। গাছের পাতা, ডাল নিত্যকার কাজের জিনিস হয়ে উঠেছিল। এইভাবে বিরাট আকারের এই গাছটি গোপালের বাড়ির নিশানায় পরিণত হয়। বাড়ির হাঁদা ছেলেকে যেমন সবাই আদর করে গায়ে হাত বোলায়, তেমনই গাছটির ফল ও গাছের গায়ে পাতায় হাত বুলিয়ে বাড়ির অন্যরা যেন তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিল।
একদিন আষাঢ়ের ঝড়ে গাছটি মারা গেলে শুধু গোপালদের বাড়ির লোকই নয়, পাড়ার সব লোক দুঃখ প্রকাশ করে। পরে সবাই অবাক বিস্ময়ে দেখে গাছের একধার উইয়ে খেয়ে নিয়েছিল। গাছটি এত করা সত্ত্বেও তার একধার উইয়ে খেয়ে নিয়েছিল তা কারো নজরে পড়েনি । আর যদি পড়তো তা হলে গাছটি এইভাবে মারা যেত না তাই আমাগাছটিকে নিরীহ, নিরপরাধ বলা সমর্থণযোগ্য।
৩.৯ ‘পৃথিবী সবারই হোক।’— এই আশীর্বাণী ‘আশীর্বাদ’ গল্পে কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে?
উত্তরঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদারের ‘আশীর্বাদ’ গল্পে উক্ত কথাটির বক্তা হল পাতা। পিঁপড়েকে দিনের শেষে মাটির নীচে আশ্রয় নিতে হয় বলে সে বলেছিল মাটি তাদের কিন্তু পাতা বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, মাটি সকলের। পাতার এই কথার মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে জীবজগতের প্রতিটি প্রাণীর অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এই পৃথিবীর আলো বাতাস, জল, মাটিকে ভোগ করার অধিকার সকলেরই সমান। ব্যাপকতর অর্থে এই সত্যটিই প্রকাশিত হয়েছে উদ্ধৃটিতে।
৩.১০ ‘… এমন অভূতপূর্ব অবস্থায় আমায় পড়তে হবে ভাবিনি’- গল্পকথক কোন অবস্থায় পড়েছিলেন?
উত্তরঃ ‘এক ভূতুড়ে কাণ্ড’ গল্পে আমরা দেখতে পাই যে নির্জন জায়গায় সাইকেলের টায়ার ফেঁসে লেখক চরম বিপদে পড়েন। প্রথমে একটি লরি আসে কিন্তু সেটি লেখককে উদ্ধার করে না। তারপর একটি ধীর গতির বেবি অস্টিন মোটরগাড়ি আসে। লেখক মরিয়া হয়ে চলন্ত গাড়িতেই উঠে পড়েন। গাড়িতে উঠে তিনি দেখেন যে, গাড়ি চলছে কিন্তু তার ড্রাইভার নেই আর সাথে ইঞ্জিনও চালু নেই।
লেখক প্রথমে ভূতের ভয়ে চমকে ওঠেন। ধীরে ধীরে সংবিৎ ফেরে তাঁর গাড়ির সিটের আরাম লেখকের আলসাকে জাগিয়ে দেয়। তাই প্রথমে চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চাইলেও, শার্টের কলার গলার চারধারে চেপে বসলেও শেষপর্যন্ত আলস্যই জয়ী হয়। প্রথমে লেখকের জিভ টাকরায় আটকে গেলেও পরে তিনি বাক শক্তি ফিরে পান। লেখকও ভুতুড়ে গাড়ি থেকে নামলেন না আর ড্রাইভারহীন গাড়ি যেমন চলছিল তেমনি চলতে লাগল।
৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
৪.১ বিসর্গসন্ধিতে বিসর্গ রুপান্তরিত হয়ে ‘র’ হচ্ছে এমন দুটি উদাহরণ দাও। —
উত্তরঃ নিঃ + আকার
চতুঃ+আসন
৪.২ বিসর্গসন্ধিতে বিসর্গ লুপ্ত হয়ে আগের স্বরধ্বনিকে দীর্ঘ করছে- এমন দু’টি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ নিঃ + রব = নীরব
চক্ষুঃ +রোগ = চক্ষুরোগ
৪.৩ উদাহরণ দাও জোড়বাঁধা সাধিত শব্দ, শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ জুড়ে সাধিত শব্দ।
উত্তরঃ নিঃ + আকার = নিরাকার
চতুঃ+ আনন = চতুরানন
দঃ + আত্ম = দুরাত্ম
ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়।
৪.৪ সংখ্যাবাচক ও পূরণবাচক শব্দের পার্থক্য কোথায়?
উত্তরঃ যেসব শব্দ দিয়ে সংখ্যা বোঝায় তাদেরকে বলে সংখ্যাবাচক শব্দ। অংকের গণনায়, পূরণে ও তারিখ নির্দেশে সংখ্যাবাচক শব্দ ব্যবহৃত হয়।
ক্রমিক সংখ্যা নির্দেশক শব্দগুলিকে বলে পূরণবাচক শব্দ | তারিক বোঝানোর জন্য এখ থেকে বত্রিশ পর্যন্ত পূরণবাচক শব্দের ব্যবহার হয়।
৪.৫ সন্ধি বিচ্ছেদ করো নিরঙ্কুশ
উত্তরঃ নিরঙ্কুশ = নিঃ + অঙ্কুশ
৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৫.১ শব্দজাত, অনুসর্গগুলিকে বাংলায় কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় এবং কী কী?
উত্তরঃ শব্দজাত, অনুসর্গ গুলিকে বাংলায় তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। এগুলি হলো – (১) তৎসম অনুসর্গ, (২) তদ্ভব অনুসর্গ এবং (৩) বিদেশি অনুসর্গ
৫.২ উপসর্গের আরেক নাম ‘আদ্যপ্রত্যয়’ কেন?
উত্তরঃ উপসর্গের আরেক নাম আদ্যপ্রত্যয়, কারণ এইগুলি শব্দের আদিতে (আগে) বসে সেই শব্দের অর্থকে আংশিক বা পুরোপুরি বদলে দেয়।
৫.৩ ‘ধাতুবিভক্তি’ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ যে বিভাক্তি ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয় তাকে ধাতু বিভক্তি বলে। যেমন – দেখ্ + তে = – দেখতে।
৫.৪ শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাও আশা/আসা, সর্গ/স্বর্গ
উত্তরঃ আশা- আকাঙ্ক্ষা, আসা- আগমন সর্গ – কাঝের অধ্যায়, স্বর্গ – দেবলোক
৫.৫ পদান্তর করো: জগৎ, জটিল
উত্তরঃ জগৎ জাগতিক
জটিল – জটিলতা
৬. অনধিক ১০০ শব্দে অনুচ্ছেদ রচনা করো :
বাংলার উৎসব
উত্তরঃ ভুমিকাঃ বাঙালির জীবন যাপন ক্ষুদ্র হলেও কিন্তু উৎসবের দিনে তারা প্রত্যেকের সঙ্গে মিশিয়ে হয়ে যায় বৃহৎ। গতানুগতিক জীবনধারা, নিজেকে অপরের কাছে প্রকাশ করা ও বিভিন্ন জিনিস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বাঙালিরা বিভিন্ন রকম উৎসবের আয়োজন করে থাকে।
বাঙালির উৎসবের বৈচিত্র্য অনেক রকম যেমন জাতীয় উৎসব, সামাজিক উৎসব, ধর্মীয় উৎসব, লোক উৎসব ইত্যাদি।
বাংলার জাতীয় উৎসবঃ
বাঙালিরা যে সমস্ত জাতীয় উৎসব পালন করে তার মধ্য দিয়ে জাতীয় সংহতি ও ঐক্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করে। যেমন স্বাধীনতা উৎসব, প্রজাতন্ত্র দিবস
বাংলার সামাজিক উৎসবঃ
বাঙালিরা সামাজিক উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে মিলন ও আদান প্রদানের ভূমিকাকে গড়ে তোলে। বাঙালিরা যে সমস্ত সামাজিক উৎসব পালন করে তা হল বিবাহ অন্নপ্রাশন
বাংলার ধর্মীয় উৎসবঃ
হিন্দু বাঙালি , বাঙালি মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, শিখ প্রভৃতি ধর্মালম্বী মানুষদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বিভিন্ন রকমের।
বাঙালি মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব গুলি হল যেমন ঈদ উল ফিতর, মহরম ইত্যাদি।
বাঙালি হিন্দুরা যে সমস্ত ধর্মীয় উৎসব পালন করে তার মধ্যে হল দুর্গা পূজা, সরস্বতী পুজো, জন্মাষ্টমী, কালীপুজো, ইত্যাদি।
খ্রিষ্টানরা বড়দিন ও গুড ফ্রাই ডে পালন করে ,বৌদ্ধরা বুদ্ধ পূর্ণিমা ও শিখদের গুরু নানকের জন্মদিন।
বাংলার লোক উৎসব
বাঙালির জীবন ধারার সঙ্গে অনেক রকমের লোক উৎসব এর প্রচলন আছে। বাঙালিরা যে সমস্ত লোক উৎসব পালন করে সেগুলি হল ভাদু, টুসু ইত্যাদি।
উপসংহার: এখন বাঙালীদের মধ্যে সেই উৎসবের আর কল্যাণ কামনা নেই আর তেমন আনন্দও নেয়।
বাঙালিরা এই সমস্ত উৎসবের মধ্য দিয়ে তারা এক বিশাল আনন্দ উপভোগ করে।বাঙালির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে তার উৎসবের বৈচিত্র্যকে সূচিত করেছে।
Model Activity Task Class 6 Part 8
Model Activity Task Class 6 Part 8 English
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 ইংলিশ
SECTION A : READING COMPREHENSION
1. Read the passage carefully and answer the questions that follow :
He caught hold of a little net and dipped it into the water. He brought the little doll out.
But she slipped out and fell on to the table banging her head.
She began to cry. Up came a policeman doll and said fiercely, “What are you doing,
catching the doll and making her bump her head like that?”
“I was saving her from drowning!” said Tuffy.
A. Tick the correct answer in the given boxes : 1 × 3 = 3
B. Fill in the chart with information from the given passage : 2 × 3 = 6
Cause | Effect |
(i) | Tuffy dipped the net into the water. |
(ii) The little doll fell on to the table. | |
(iii) | The policeman doll talked fiercely. |
Ans:
Cause | Effect |
(i) Tuffy wanted to save the little doll from drowning | Tuffy dipped the net into the water. |
(ii) The little doll fell on to the table. | Her head was bandaged |
(iii) The policeman thought that Tuffy had made the doll cry | The policeman doll talked fiercely. |
2. Read the following passage and answer the questions given below :
Once upon a time there lived a boy, named Tatai. His father, Mr. Chowdhury, worked at the nearby coal-mine. Everyday Tatai used to watch the roadside jewellery shop hardly three yards away from his scratched window pane. It displayed a sparkling diamond necklace in a glass box. One day, a rich old lady stepped out of a cab, bought the beautiful necklace and left the glass box blank. The shopkeeper put some cheap crystal jewellery to fill in the emptiness of the box.
A. Fill in the table with information from the passage : 1 × 3 = 3
Who | Did what |
(i) Tatai | |
(ii) The rich old lady | |
(iii) The shopkeeper |
Ans:
Who | Did what |
(i) Tatai | used to watch the roadside jewellery shop |
(ii) The rich old lady | bought the beautiful necklace |
(iii) The shopkeeper | put some cheap crystal jewellery to fill in the emptiness of the box |
B. Answer the following questions : 2 × 2 = 4
(i) What was the occupation of Tatai’s father?
Ans : Tatai’s father worked at the nearby coal-mine.
(ii) How far was the jewellery shop from his house?
Ans : The jewellery shop was hardly three yards away from his house.
SECTION B : GRAMMAR AND VOCABULARY
3. Fill in the blanks with verbs in agreement with the subject : 1 × 3 = 3
(a) Pepperoni and cheese ________________ great on a pizza.
Ans: is
(b) Neither she nor I _________________ going to school.
Ans: am
(c) The Director and Producer of the film ________________ giving an interview.
Ans: is
4. Identify the Imperative, Exclamatory, Optative and Interrogative sentences : 1 × 5 =5
(a) Hurray! We have won the match.
Ans: Exclamatory
(b) What is your name?
Ans: Interrogative
(c) Neeraj Chopra won the gold medal in the Tokyo Olympics.
Ans: Assertive
(d) Open the door.
Ans: Imperative
(e) May God bless you.
Ans: Optative
5. Classify the underlined words of the given sentences in the correct columns : 1 × 6 = 6
(i) Sugar is sweet.
(ii) This is my book.
(iii) You should carry an umbrella while going out.
(iv) My mother has long hair.
(v) Give me a glass of water.
Countable noun | Uncountable noun | ||
(i) | Book | (a) | Sugar |
(ii) | Umbrella | (b) | Hair |
(iii) | Glass | (c) | Water |
6. Add Prefixes to the words given below and make opposites : 1 × 5 = 5
respect, comfortable, fortune, mature, literate
Ans: Disrespect, Uncomfortable, Misfortune, Immature, Illiterate
ACTIVITY 4
7. Make sentences with the following words : 1 × 3 = 3
despair, sturdy, drowning
Ans: Despair- After losing his son he fell in despair.
Sturdy- we need some sturdy people to do this work.
Drowning- He saved a drowning dog.
SECTION C : WRITING
8. Suppose you had been to Murshidabad with your parents. Write a paragraph (in about 60 words) about your experience in the historical place. You may use the following hints : 6
Hints : how you went there — mode of transport — historical sites you visited —
description of what you saw — your feelings
Ans: Last Winter I went to Murshidabad with my parents. We went there by train. We saw the sightseeing place by tanga, a horse-driven cart. At first, we visited the Hazarduari. It is a nice place with many real and false doors. We saw the weapons used by the Nawabs of Bengal. We saw so many precious paintings there. We saw many other historical sites like Imambara, Katra- Mosque, Khosbag, Motijhil, etc. . This visit to Murshidabad will forever remain imprinted on many mind.
9. Develop a story (in about 60 words) using the following outlines. Add a suitable to your story : 6
Outline : dog with piece of meat in mouth — crosses a river bridge — sees his shadow
— thinks another dog, barks — meat falls into the river
Ans:
THE DOG AND HIS SHADOW
One day a dog got a piece of meat. He was crossing a bridge with the meat in his mouth. He saw his own shadow in the water below. He taught that it was an another dog with another piece of meat in his mouth. He became greedy to get it. He opened his mouth to bark. His own piece of meat fell into the water. The dog lost his meat. He was sorry for his foolishness.
Model Activity Task Class 6 Part 8 History
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 পরিবেশ ও ইতিহাস
১. সঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পুরণ করো ১×৩ = ৩
১.১ এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে পুরোনো আদিম মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে,________________ (এশিয়াতে / পূর্ব আফ্রিকাতে / আমেরিকাতে)।
উত্তরঃ পূর্ব আফ্রিকাতে
১.২ মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন ____________________ (জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ / চার্লস ম্যাসন / দয়ারাম সাহানি)।
উত্তরঃ জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ
১.৩ হরপ্পা সভ্যতা ___________________ যুগের সভ্যতা (প্রাক-ইতিহাস / প্রায়-ইতিহাস / ঐতিহাসিক)।
উত্তরঃ প্রায়-ইতিহাস
২. ক স্তম্ভের সাথে খ-স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো : ১×৩ = ৩
ক স্তম্ভ | খ-স্তম্ভ |
বন্দর – নগর বৃহৎ স্নানাগার উঁচু এলাকা | সিটাডেল লোথাল মহেনজোদাড়ো |
উত্তরঃ
ক স্তম্ভ | খ-স্তম্ভ |
বন্দর – নগর বৃহৎ স্নানাগার উঁচু এলাকা | লোথাল মহেনজোদাড়ো সিটাডেল |
৩. বেমানান শব্দটি খুঁজে লেখো : ১×৩ = ৩
৩.১ সংহিতা, মহাকাব্য, আরণ্যক, উপনিষদ
উত্তরঃ মহাকাব্য
৩.২ ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ, ব্রাহ্মণ
উত্তরঃ ব্রাহ্মণ
৩.৩ বিদথ, সভা, সমিতি, রত্নিন
উত্তরঃ রত্নিন
৪. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো : ১×৩ = ৩
৪. দক্ষিণ ভারতের একমাত্র মহাজনপদ ছিল অস্মক।
উত্তরঃ সত্য
৪.২ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শেষ জীবনে বৌদ্ধ হয়ে যান।
উত্তরঃ মিথ্যা
৪.৩ বিনয়পিটক গৌতম বুদ্ধের মূল কয়েকটি উপদেশের আলোচনা।
উত্তরঃ মিথ্যা
Model Activity Task Class 6 Part 8
৫. দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও : ২ x ৪=৮
৫.১ মেহেরগড় সভ্যতায় কোন কোন কৃষি পণ্য উৎপাদিত হত?
উত্তরঃ মেহেরগড় সভ্যতায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য গুলি দুটি পর্যায়ে উৎপাদিত হত। প্রথম পর্যায়ে পাওয়া যায় গম ও যব জাতীয় শস্য। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে গম ও জবের পাশাপাশি পাওয়া যায় কার্পাস চাষের নিদর্শন। মেহেরগড় সভ্যতা পৃথিবীর প্রাচীন কার্পাস উৎপাদন কেন্দ্র।
৫.২ উপমহাদেশের পুরোনো গুহা-বসতির প্রমাণ পাওয়া গেছে এরকম কয়েকটি স্থানের নাম লেখো।
উত্তরঃ ভারতীয় উপমহাদেশে পুরনো গুহা বসতির প্রমাণ পাওয়া গেছে হুন্সগী, ভীমবেটকা,বাগোর প্রভৃতি স্থানে ।
৫.৩ বেদের আরেক নাম শ্রুতি কেন?
উত্তরঃ বেদ প্রথম দিকে লিখিত রুপে ছিল না। ঈশ্বরের মুখ নিঃসৃত বানী ঋষিরা মনে রাখতেন এবং তাঁদের কাছ থেকে শিশ্যরা সেই বানী শুনে শুনে মুখস্ত করে নিত। তাই বেদ কে শ্রুতি বলা হত।
৫.৪ জনপদ কী?
উত্তরঃ প্রাচীন ভারতে গ্রামের থেকে বড় অঞ্চল কে জন বলা হত। তাই জনগন যেখানে পা বা পদ রাখত অর্থাৎ বাস করত তাকে বলা হয় জনপদ।
৬. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও : ৩ × ৫ = ১৫
৬.১ মেগালিথ কী?
উত্তরঃমেগালিথ হচ্ছে একপ্রকার প্রাচীন পাথর যা কোন স্থাপত্য বা মিনার তৈরী করতে এককভাবে বা অনেকগুলো নিয়ে ব্যবহৃত হয়।আর মেগালিথিক মানেই হচ্ছে এই বিশেষ প্রাচীন পাথরের তৈরী কোন স্থাপনা যা মর্টার বা কনক্রিটের ব্যবহার ছাড়াই তৈরী করা হয়েছে এবং অতি অবশ্যই যা প্রাগৈতিহাসিক বলে অভিহিত করা যায়।পরবর্তীতে নির্মিত স্থাপনাগুলোকে অবশ্য মনোলিথিক বলে অভিহিত করা যায়।
Model Activity Task Class 6 Part 8
৬.২ জাতকের গল্পের মূল বিষয়বস্তু কী?
উত্তরঃজাতকের মূল চরিত্র বা অতীতের বোধিসত্ত্বই বর্তমানের বুদ্ধ। অতীত জীবনের সাথে বর্তমান জীবনের সম্পর্ক স্থাপন করা হয় যাকে সমবধান বা সমাধান বলা হয়। জাতকের উপদেশ ও নীতি শিক্ষা মানুষকে মৈত্রী পরায়ণ, দয়াবান, সৎ ও আদর্শবান হতে শেখায়।
৬.৩ টাকা লেখো: অর্থশাস্ত্র
উত্তরঃ -চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমলে রচিত কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটি অর্থনীতি নয়, রাষ্ট্রনীতি বিষয়ক গ্রন্থ কেউ কেউ মনে করেন, কৌটিল্য একটি ছদ্মনাম। কেউ মনে করেন, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মন্ত্রী চাণক্যই অর্থশাস্ত্রের রচয়িতা কৌটিল্য। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে মহীশূরের পণ্ডিত ড. শ্যাম শাস্ত্রী এই গ্রন্থটির পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন। গ্রন্থটি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়নি। তবে, মোট পনেরোটি ভাগে বিভক্ত এই গ্রন্থটির ছয় হাজার শ্লোক থেকে মৌর্য যুগের (i ) রাজ্যশাসন পদ্ধতি, (ii ) রাজস্বনীতি, (iii ) দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন, (iv) রাষ্ট্রের নিরাপত্ত, (v) গুপ্তচর বিভাগ, (vi) পৌর প্রশাসন, (vii) নারীর অধিকার, (viii) বিবাহবিচ্ছেদ, (ix) বিধবাবিবাহ (x) গণিকা বৃত্তান্ত প্রভৃতি বিষয়ে জানা যায়। অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি এককথায় সমকালের সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার দর্পণ।
৬.৪ মৌর্য সম্রাটরা গুপ্তচর কেন নিয়োগ করতেন।
উত্তরঃ সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে মৌর্যদের সেনাবাহিনীর দরকার ছিল। সেনাবাহিনীর ওপর সম্রাটের ক্ষমতা ছিল চূড়ান্ত। জানা যায় যে, মৌর্যদের সেনাবাহিনী ছিল বিরাট। ঘোড়া, রথ, হাতি, নৌকা প্রভৃতির ব্যবহার ছিল সেনাবাহিনীতে। সঙ্গে ছিল পদাতিক সেনা, যারা পায়ে হেঁটে যুদ্ধ করত। মৌর্য সম্রাটরাই প্রথম গুপ্তচরদের সাম্রাজ্যের খোঁজখবর আনতে কাজে লাগান। বিদেশি বা অচেনা সন্দেহজনক লোক সবার ওপরেই গুপ্তচরের নজর থাকত। রাজকর্মচারী এমনকি রাজপুত্ররাও গুপ্তচরদের নজরের বাইরে যেতে পারত না। সাম্রাজ্যের সব খবর চলে যেত সম্রাটের কাছে।
Model Activity Task Class 6 Part 8
৬.৫ টীকা লেখো: হর্ষচরিত
উত্তরঃ বানভট্ট হর্ষবর্ধনেরকে নিয়ে হর্ষচরিত কাব্য রচনা করেন। এই কারো কেবলমাত্র হর্ষবর্ধনের গুণগান করা হয়েছে। পাশাপাশি পুষ্যভৃতিদের রাজস্ব ও তার ইতিহাস আলোচনা করেছেন বানভট্ট। হর্ষবর্ধনের গুনোগান করতে গিয়ে বানভট্ট অন্যান্য বিরোধীদের ছোট করেছেন। যেমন- শশাঙ্ক কে অনেক ভাবে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
৭. আট-দশটি বাক্যে উত্তর দাও : ৫ x ৩ = ১৫
৭.১ তুমি কি মনে করো, আগুনের ব্যবহার মানুষের ইতিহাসে জরুরি একটি পরিবর্তন?
উত্তরঃ আগুনের ব্যবহার মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এক বিশাল পরিসর জুড়ে পরিবর্তন নিয়ে আসে। শুরুর দিকে আদিম মানুষেরা বিভিন্ন ভাবে মাঝে মধ্যে আগুন জ্বলে উঠতে দেখতে পেত, কখনও জঙ্গলে দাবানল থেকে, কখনও বজ্রপাতের থেকে, আবার কখনও হাতিয়ার বানাতে গিয়ে পাথরে ঘষা লেগে আগুন জ্বলে উঠত। এইভাবে আদিম মানুষের আগুনের সাথে পরিচয় হয়। আগুনের আবিষ্কারের পরে মানুষ তাকে কাজে লাগাতে শুরু করে। বাসস্থানে আলো জ্বালাতে, জঙ্গলের পশুদের তাড়াতে আগুন কাজে লাগতে শুরু করল। এছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ কাঁচা খাওয়ার বদলে খাবার আগুনে ঝলসে খাওয়া শুরু করল। ঝলসানো নরম মাংস খেত বলে তাদের চোয়ালের ও দাঁতের জোর কম লাগত। এইভাবে তাদরে চোয়াল সরু হয়ে গেল। সামনের ধারালো উঁচু দাঁত ছোটো হয়ে গেল। এইভাবে আদিম মানুষের শরীরে বল বৃদ্ধি পেল ও বুদ্ধির বিকাশ ঘটল ।
৭.২ বৈদিক যুগের ব্যবসা বাণিজ্য কেমন ছিল?
উত্তরঃ আদি বৈদিক যুগে ব্যাবসাবানিজ্যের বিশেষ চলন ছিল না। সরাসরি সমুদ্র-বানিজ্যের কথা ঋকবেদে নেই। পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে ব্যাবসাবানিজ্যের কথা বেশি পাওয়া যায়। তবে সমুদ্র বানিজ্য আই আমলেও ছিল কিনা নিশ্চিত জানা যায় না। বৈদিক যুগে জিনিসপত্র বিনিময় করা হত তবে মুদ্রার ব্যাবহার ছিল বলে মনে হয় না। যদিও নিষ্ক শতমান এগুলি হয়তো মুদ্রার মতো ব্যাবহার হতো।
৭.৩ নব্যধর্ম আন্দোলন কেন গড়ে উঠেছিল?
উত্তরঃ নব্যধর্ম আন্দোলন গড়ে ওঠার কারণ:–
(1) কৃষিকাজে লোহার লাঙ্গলের ফলার ব্যবহার শুরু হওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধি ও সেখান থেকে অনেক কৃষক সমাজে ব্যবসায়ী ও কারিগর হয়ে ওঠে। তারা বৈদিক ধর্মের কঠোরতা থেকে বের হতে চেয়েছিল।
(2) সেইসময় সমাজে জাতিভেদ প্রথার কঠোরতর কারণে সাধারণ মানুষ বৈদিক ধর্মের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছিল।
(3) লোহার অস্ত্র ব্যবহারের ফলে বাহুবলে ক্ষত্রিয়রা সমাজে ব্রাহ্মণদের সমান ক্ষমতা পাওয়ার দাবি করে।
Model Activity Task Class 6 Part 8
Model Activity Task Class 6 Part 8 Geography
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 পরিবেশ ও ভূগোল
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো : ১×৯ = ৯
১.১ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো –
ক) গ্রহ – নিজস্ব আলো আছে
খ) গ্রহাণু – গ্রহের তুলনায় আয়তনে বড়
গ) উপগ্রহ – নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত
ঘ) উদ্ধা – লেজবিশিষ্ট উজ্জ্বল জ্যোতিক
উত্তরঃ গ) উপগ্রহ – নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত
১.২ নিরক্ষরেখার সমান্তরালে উত্তর গোলার্ধে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখা হলো
ক) মকরক্রান্তি রেখা
খ) কর্কটক্রান্তি রেখা
গ) মূলমধ্য রেখা
ঘ) কুমেরুবৃত্ত রেখা
উত্তরঃ খ) কর্কটক্রান্তি রেখা
১.৩ নীচের যে রাজ্যটির ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা বিস্তৃত সেটি হলো
ক) অরুণাচল প্রদেশ
খ) মহারাষ্ট্র
গ) হিমাচল প্রদেশ
ঘ) পশ্চিমবঙ্গ
উত্তরঃ ঘ) পশ্চিমবঙ্গ
১.৪ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জীবকুলকে রক্ষাকারী ওজোন স্তর আছে।
ক) ট্রপোস্ফিয়ারে
খ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে
গ) আয়নোস্ফিয়ারে
ঘ) এক্সোস্ফিয়ারে
উত্তরঃ গ) আয়নোস্ফিয়ারে
১.৫ আন্টার্কটিকার একটি স্বাভাবিক উদ্ভিদ হলো
ক) পাইন
খ) শাল
গ) মস
ঘ) সেগুন
উত্তরঃ গ) মস
১.৬ ভারতের মরু অঞ্চলের মাটির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো –
ক) মাটির জলধারণ ক্ষমতা বেশি
খ) মাটিতে লোহার পরিমাণ বেশি
গ) মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম
ঘ) মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি
উত্তরঃ গ) মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম
১.৭ উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের মাঝে অবস্থিত মহাসাগরটি হলো
ক) প্রশান্ত মহাসাগর
খ) আটলান্টিক মহাসাগর
গ) ভারত মহাসাগর
ঘ) সুমেরু মহাসাগর
উত্তরঃ খ) আটলান্টিক মহাসাগর
১.৮ পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর প্রকৃতি –
ক) উষ্ণ-আৰ্দ্ৰ
খ) শীতল-আর্দ্র
গ) শীতল-শুষ্ক
ঘ) উষ্ণ-শুষ্ক
উত্তরঃ ক) উষ্ণ-আৰ্দ্ৰ
১.৯ ভারতের একটি পশ্চিমবাহিনী নদী হলো
ক) কাবেরী
খ) গোদাবরী
গ) নর্মদা
ঘ) মহানদী
উত্তরঃ গ) নর্মদা
২. শূন্যস্থান পূরণ করো : ১×৩ = ৩
২.১ সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলের জলবায়ু __________________ প্রকৃতির হয়।
উত্তরঃ সমভাবাপন্ন
২.২ নির্দিষ্ট ঋতুতে যে গাছের পাতা ঝরে পড়ে তাকে _________________ উদ্ভিদ বলে।
উত্তরঃ পর্ণমোচী
২.৩ সাধারণত শীতকালে শীতল অঞ্চল থেকে যে পাখিরা আমাদের দেশে উড়ে আসে তারা ________________ পাখি নামে পরিচিত। –
উত্তরঃ পরিযায়ী
৩. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখো : ১×৩ = ৩
৩.১ গোলাকার পৃথিবী দ্রুত গতিতে আবর্তন করায় এটি মাঝ বরাবর স্ফীত।
উত্তরঃ ভুল
৩.২ ০°ও ১৮০° দ্রাঘিমারেখা প্রকৃতপক্ষে একটিই রেখা।
উত্তরঃ ঠিক
৩.৩ সূর্যের দৈনিক আপাত গতির মূল কারণ পৃথিবীর আবর্তন।
উত্তরঃ ঠিক
8. স্তম্ভ মেলাও : ১×৩ = ৩
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
৪.১ আর্দ্রতা ৪.২ ভারতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ৪.৩ অখণ্ড স্থলভাগ | i) প্যানজিয়া ii) হাইগ্রোমিটার iii) গডউইন অস্টিন |
উত্তরঃ
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
৪.১ আর্দ্রতা ৪.২ ভারতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ৪.৩ অখণ্ড স্থলভাগ | ii) হাইগ্রোমিটার iii) গডউইন অস্টিন i) প্যানজিয়া |
৫. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২ x ৪ = ৮
৫.১ তারার রঙের সঙ্গে উষ্ণতার সম্পর্ক লেখো।
উত্তরঃ তারার রঙের সঙ্গে উষ্ণতার সম্পর্ক নিম্নলিখিত :
খালি চোখে আমরা যে সকল তারাগুলোকে খালি চোখে দেখি তাদের রং দেখে বোঝা যায় যে তারা কতটা উত্তপ্ত। যেমন-
(i) ছোটো লাল তারা:- ছোটো লাল তারার উষ্ণতা সবথেকে কম। আকাশে এরকম তারার সংখ্যা সবথেকে বেশী।
(ii) মাঝারি হলুদ তারা:- মাঝারি হলুদ তারার উষ্ণতা লাল তারার থেকে একটু বেশী।
(iii) নীল তারা:- বিরাট নীল তারার উষ্ণতা প্রচণ্ড বেশী এবং এরা বেশ উজ্জ্বল।
(iv) সাদা তারা:- প্রকাণ্ড সাদা তারার উষ্ণতা এবং উজ্জ্বলতা দুটোই সবথেকে বেশী।
৫.২ দিগন্তরেখা কাকে বলে?
উত্তরঃ দিগন্তরেখা:- দূরে কোনো স্থানের দিকে লক্ষ্য করলে মনে হয় যেন আকাশটা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যে রেখা বরাবর আকাশটা মিশে গেছে বলে মনে হয়, তাকে দিগন্তরেখা বলে।
৫.৩ বারিমণ্ডল কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তরঃ পৃথিবী সৃষ্টির বহুকোটি বছর পর পৃথিবীর বাইরের অংশটা বেশ ঠান্ডা হয়ে আসে। তখন আকাশের রাশি রাশি জলীয়বাষ্প ঠান্ডা হয়ে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির মতো পৃথিবীতে নেমে আসে। হাজার হাজার বছর ধরে এই প্রবল বৃষ্টির জলে পৃথিবীর নীচু অংশ ভরাট হয়ে সাগর, মহাসাগর তৈরি হয়। পৃথিবীর এই বিশাল জলভাণ্ডারকে বারিমণ্ডল বলে। এই ভাবে পৃথিবীতে বারিমণ্ডলের সৃষ্টি হয়।
৫.৪. বিকিরণ পদ্ধতিতে কীভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয়?
উত্তরঃসূর্যরশ্মির 200 কোটি ভাগের 1 ভাগ মাত্র পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। বায়ুমণ্ডল সরাসরি সূর্যরশ্মি দ্বারা উত্তপ্ত হয় না। ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরন পদ্ধতিতে সূর্যরশ্মি মহাশূন্যে ফিরে যাওয়ার সময় বিভিন্ন গ্যাস, জলীয়বাষ্প ও ধূলিকণা দ্বারা শোষিত হয়। তারাই বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে তোলে।
৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৬.১ পৃথিবীর কাল্পনিক অক্ষ কক্ষতলের সঙ্গে কত ডিগ্রি কোণে হেলে অবস্থান করছে তার একটি চিহ্নিত চিত্র আঁকো।
উত্তরঃ
৬.২ পলিমাটির তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ পলিমাটির তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো-
(1) পলিমাটিতে জৈব পদার্থ বেশি থাকে ।
(2) এই মাটিতে ধান , পাট , গম প্রভৃতি ফসল অত্যন্ত ভালো হয় ।
(3) পলিমাটির জলধারণ ক্ষমতা বেশি ।
Model Activity Task Class 6 Part 8
৬.৩ বিশ্ব উষ্বায়নের কারণে পৃথিবীর শীতলতম মহাদেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে?
উত্তরঃ বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে পৃথিবীর শীতলতম মহাদেশ এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে—
(1) বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বরফ গলে যাচ্ছে, আয়তন কমছে মহাদেশটির।
(2) এই মহাদেশে থাকা প্রাণীগুলি যেমন- পেঙ্গুইন, তুষার ভালুক, সিল এদের জীবন বিপন্ন হচ্ছে।
(3) বরফ ও প্রাণী হ্রাস পাওয়ায় শীতল মহাদেশটির প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : ৫ x ৩ = ১৫
৭.১ হিমালয়ের উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত তিনটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেণির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ হিমালয়ের উত্তর থেকে দক্ষিনে তিনটি পর্বতশ্রেণী হল- ক. হিমাদ্রি হিমালয় খ. হিমাচল হিমালয় গ.০ শিবালিক হিমালয় ।
ক. হিমাদ্রি হিমালয় : হিমাদ্রি হিমালয়ের গড় উচ্চতা প্রায় 6000 মিটারের বেশি।এই হিমালয়ের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি শৃঙ্গ হল — মাউন্ট এভারেস্ট , কাঞ্চনজঙ্ঘা , মাকালু প্রভৃতি ।
খ. হিমাচল হিমালয় : হিমাদ্রি হিমালয়ের দক্ষিণ দিকে হিমাচল হিমালয় অবস্থিত । এই অংশের গড় উচ্চতা প্রায় 3000 মিটারের বেশি । কেদারনাথ , বদ্রিনাথ বিখ্যাত পর্বতশৃঙ্গ গুলি এই হিমালয়ের , অংশ ।
গ. শিবালিক হিমালয় : হিমাচল হিমালয়ের দক্ষিণ দিকে শিবালিক হিমালয় অবস্থিত।এই দুই হিমালয়ের মাঝের উপত্যকাগুলিকে ‘ দুন ‘ বলে । এই হিমালয়ের গড় উচ্চতা প্রায় 1500 মিটার ।
৭.২ বায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহ কোনো অঞ্চলের আবহাওয়াকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ
বায়ুর চাপ : বায়ু পৃথিবীর ওপর চাপ দেয় । সমুদ্র পৃষ্ঠে বায়ুর চাপ সবথেকে বেশি । যত ওপরে ওঠা যায় বায়ুর চাপ তত কমতে থাকে । বায়ুচাপ কমে গিয়ে নিম্নচাপ হলে ঝড় – বৃষ্টি অশান্ত আবহাওয়া তৈরি হয়। আবার বায়ুচাপ বেড়ে গিয়ে উচ্চচাপ হলে পরিষ্কার আকাশ শান্ত আবহাওয়া দেখা যায় ।
বায়ুপ্রবাহঃ বায়ু সব জায়গায় চাপ সমান রাখার জন্য উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। হঠাৎ কোনো জায়গায় বাতাসের চাপ খুব কমে গেলে, বাতাস ভীষণ গতিতে আশেপাশের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ছুটে আসে। তখন ঝড় ওঠে। বাতাসের গতি বেশি হলে গাছপালা, ঘর – বাড়ি ভেঙে পড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
৭.৩ অরণ্য সংরক্ষণ করা কেন প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো?
উত্তরঃ অরণ্য সংরক্ষণ : বনভূমিকে বিজ্ঞান ভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণ এবং অপচয় বন্ধ কবে বিজ্ঞান ভিত্তিক সর্বাধিক ব্যবহারকে অরণ্য সংরক্ষণ বলে। পরিবেশগত ভারসাম্যের নিরিখে কোনো দেশের মোট আয়তনের প্রায় ১/৩ অংশ অরণ্যাবৃত হওয়া প্রয়োজন। ভারতে বনভূমির পরিমাণ মোট ভৌগোলিক আয়তনের মাত্র ২০.৫৫%। এই কারণেই বনভূমি সংরক্ষণ একান্ত প্রয়োজন। বনভূমি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাগুলো হল:
১. প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা: গাছ দূষিত কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন (02) পরিত্যাগ করে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাসের মধ্যে সমতা বজায় থাকে। এই সমতা পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
২. মৃত্তিকার ক্ষয়রোধ : উদ্ভিদের শিকড় মাটিকে আঁকড়ে ধবে রাখে। বনভূমি ধ্বংস হলে মৃত্তিকা বা ভূমিক্ষয় বাড়বে। ফলে একদিকে যেমন বন্যার পরিমাণ বাড়বে, কৃষিকাজের ক্ষতি হবে তেমনি পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধস বেড়ে যাবে।
৩. বনজ সম্পদের জোগানের নিয়মিতকরণ: বন থেকে প্রাপ্ত কাঠ, জানলা, দরজা, আসবাবপত্র, রেলের স্লিপার, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, কাগজ শিল্প, নিউজপ্রিন্ট শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের প্রযোজনীয়তা মেটায়। এ ছাড়া মধু, মোম, কুইনাইন, এবং বিভিন্ন ঔষধপত্র তৈরী করার জন্য বিভিন্ন গাছের প্রয়োজন হয়। বনভূমি সংরক্ষণ ব্যতীত এগুলি পাওয়া সম্ভব নয়।
৪. জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষা: বনভূমি ধ্বংসের কারণে উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা প্রাণীকুলের ধবংস হয় ফলে পরিবেশের খাদ্যশৃঙ্খল বিনষ্ট হয় ও পরিবেশে বাস্তুতন্ত্রের বিঘ্ন ঘটে। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য অরণ্য সংরক্ষণ প্রয়োজন।
Model Activity Task Class 6 Part 8
Model Activity Task Class 6 Part 8 Science
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 পরিবেশ ও বিজ্ঞান
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করো : ১ x ৯ = ৯
১.১ সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে পাওয়া যায়
(ক) রজন
(খ) কুইনাইন
(গ) রবার
(ঘ) আঠা
উত্তরঃ (খ) কুইনাইন
Model Activity Task Class 6 Part 8
১.২ কৃষিক্ষেত্রে সার হিসেবে যা ব্যবহৃত হয় তা হলো –
(ক) নুন
(খ) ম্যালাথায়ন
(গ) কার্বারিল
(ঘ) ইউরিয়া
উত্তরঃ (ঘ) ইউরিয়া
১.৩ কার্বন টেট্টাক্লোরাইডের সংকেত হলো
(ক) CCI
(খ) CCI2
(গ) CCI4
(ঘ) CCI3
উত্তরঃ (গ) CCI4
১.৪ হেমাটাইট যে ধাতুর আকরিক তা হলো
(ক) সোনা
(খ) তামা
(গ) লোহা
(ঘ) অ্যালুমিনিয়াম
উত্তরঃ (গ) লোহা
Model Activity Task Class 6 Part 8
১.৫ আয়তন পরিমাপের একক হলো
(ক) গ্রাম
(খ) সেন্টিমিটার
(গ) বর্গ সেন্টিমিটার
(ঘ) ঘন সেন্টিমিটার
উত্তরঃ (ঘ) ঘন সেন্টিমিটার
১.৬ অবিশুদ্ধ রক্ত হলো
(ক) যে রক্তে কেবল CO2 থাকে
(খ) যে রক্তে O2 -এর তুলনায় CO2 বেশি থাকে
(গ) যে রক্তে কেবল O2 থাকে
(ঘ) যে রক্তে CO2 এর তুলনায় O2 বেশি থাকে
উত্তরঃ (খ) যে রক্তে O2 -এর তুলনায় CO2 বেশি থাকে
১.৭ যেটি আগ্নেয়শিলা তা হলো।
(ক) চুনাপাথর
(খ) বেলেপাথর
(গ) মার্বেল পাথর
(ঘ) গ্রানাইট
উত্তরঃ (ঘ) গ্রানাইট
১.৮ দৈর্ঘ্য পরিমাপের ক্ষুদ্রতম এককটি হলো
(ক) ডেকামিটার
(খ) ডেসিমিটার
(গ) মিটার
(ঘ) মিলিমিটার
উত্তরঃ (ঘ) মিলিমিটার
১.৯ মানুষের বুড়ো আঙুলে যে ধরনের অস্থিসন্ধি দেখা যায় সেটি হলো
(ক) পিভট সন্ধি
(খ) হিঞ্জ সন্ধি
(গ) স্যাডল সন্ধি
(ঘ) বল এবং সকেট সন্ধি
উত্তরঃ (গ) স্যাডল সন্ধি
Model Activity Task Class 6 Part 8
শূন্যস্থান পূরণ করো : ১ ×৩ = ৩
২.১ সাগরকুসুম আর মাছের মধ্যে মিথোজীবী সম্পর্ক দেখা যায়।
উত্তরঃ ক্লাউন
২.২ কোনো কঠিন পদার্থের বড়ো টুকরোকে ভেঙে ছোটো করা হলে ছোটো টুকরোগুলোর উপরিতলের মোট ক্ষেত্রফল বড়োটার উপরিতলের ক্ষেত্রফলের তুলনায় যায়।
উত্তরঃ বেড়ে
২.৩ রান্নার বাসনের হাতলে প্লাস্টিকের আস্তরণ দেওয়ার কারণ হলো ধাতুর চেয়ে প্লাস্টিকের তাপ পরিবহণের ক্ষমতা
উত্তরঃ কম
৩. ঠিক বাক্যের পাশে ‘ ‘ আর ভুল বাক্যের পাশে ‘x’ চিহ্ন দাও : ১×৩ = ৩
৩.১ কোনো স্প্রিংকে চাপ দিয়ে সংকুচিত করা হলে তার মধ্যে গতিশক্তি সঞ্চিত হয়।
উত্তরঃ ভুল x
৩.২ কোনো তরলের প্রবাহিত হওয়ার বেগ বাড়লে সেই তরলের মধ্যের চাপ বেড়ে যায়।
উত্তরঃ ভুল x
৩.৩ লিগামেন্ট পেশির সঙ্গে হাড়কে যুক্ত করে।
উত্তরঃ ভুল x
Model Activity Task Class 6 Part 8
৪. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও ১×৩ = ৩
৪.১ SI পদ্ধতিতে বলের একক কী?
উত্তরঃ নিউটন
৪.২ জলের গভীরে গেলে তরলের চাপ কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
উত্তরঃ তরলের চাপ তরলের গভীরতার সাথে সমানুপাতিক অর্থাৎ যত গভীরে গেলে চাপ ততো বাড়বে।
৪.৩ মানবদেহের কোথায় অচল অস্থিসন্ধি দেখা যায়?
উত্তরঃ মানবদেহের মাথার করোটিতে অচল অস্থিসন্ধি দেখা যায়।
৫. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও : ২ × ৭ = ১৪
৫.১ ‘বিভিন্ন প্রাণীদের থেকে জামাকাপড় তৈরির উপাদান পাওয়া যায়। – উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ বর্তমানে বিভিন্ন প্রাণীর দেহের অংশ দিয়ে খুব দামী দামী পোশাক তৈরি হয়। সিল্কের উন্নত মানের বস্ত্র, শীতের দিনে ব্যবহার করা গরম পোশাক কিংবা চামড়ার জ্যাকেট বর্তমানে তৈরি হয় কোন না কোন প্রাণীর দেহের অংশ থেকে। নিচের ছকে বিভিন্ন প্রাণীদের থেকে জামা কাপড় তৈরীর উপাদান এর একটি তালিকা দেওয়া হল:
জামা কাপড় তৈরীর উপাদান | প্রাণীজ উৎস |
রেশম বা সিল্ক | রেশম মথ এর কোকুন বা গুটি |
পশম বা উল | ভেড়া ছাগল ও খরগোশের পশম |
চামড়া বা লেদার | গরু, মোষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদির চামড়া |
লোম যুক্ত দেহতত্ত্ব বা ফার | ভেড়া, ছাগল ইত্যাদির লোমযুক্ত দেহত্বক |
৫.২ জল ও বালির মিশ্রণ থেকে কী কী উপায়ে বালিকে পৃথক করা যায়?
উত্তরঃ জল ও বালির মিশ্রণ থেকে যে যে উপায়ে বালি কে পৃথক করা যায় সেগুলি হল
পরিস্রাবন : এই প্রক্রিয়াতে ফিল্টার কাগজ এর সাহায্যে জল ও বালির দ্রবন থেকে বালিকে ছেঁকে নেওয়া যায়।
থিতানো : বালি ও জলের দ্রবণকে কিছুক্ষণ রেখে দিলে বালি জলের নিচে থিতিয়ে পড়ে, এবার উপরের পরিষ্কার জল ঢেলে নেওয়া যায় এক্ষেত্রে বালিকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা যায়।
এছাড়াও কাপড়ের সাহায্যে ছেঁকে বালিকে জল থেকে আলাদা করা যায়।
৫.৩ 0.09 বর্গমিটার ক্ষেত্রফলে 90 নিউটন বল প্রযুক্ত হলে যে পরিমাণ চাপ সৃষ্টি হবে তা নির্ণয় করো।
উত্তরঃ আমরা জানি চাপ = বল ÷ ক্ষেত্রফল
অর্থাৎ, চাপ = (90 ÷ 0.09) নিউটন / বর্গমিটার
চাপ = 1000 নিউটন / বর্গমিটার।
৫.৪ রক্তের কাজ কী কী?
উত্তরঃ রক্তের কাজগুলি হলো
(i) দেহে তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখা।
(ii) জীবাণুদের বিরুদ্ধে দেহে রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
(iii) খাবার হজমের পর সরকারি খাদ্য কণাগুলি শরীরের আনাচে কানাচে পৌঁছে দেওয়া।
Model Activity Task Class 6 Part 8
৫.৫ “ভোঁতা ছুরিতে সবজি কাটা শক্ত” – চাপের ধারণা প্রয়োগ করে কারণ ব্যাখ্যা করো। –
উত্তরঃ যেহেতু ভোতা ছুরির প্রান্তের ভাগের ক্ষেত্রফল অনেক বেশি, তাই ছুড়িতে বল প্রয়োগে উৎপন্ন চাপের পরিমাণ ও অনেক কম হয়। সেই কারণে ভোতা ছুরি কোন একটা সবজি বা ফলের উপর রেখে কাটতে গেলে অনেক বেশি বল প্রয়োগ করতে হয়। এই কারণে ভোতা ছুড়িতে সবজি বা ফল কাটা শক্ত ।
৫.৬ মানবদেহে কীভাবে ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত বাম নিলয়ে পৌঁছোয়?
উত্তরঃ বিশুদ্ধ রক্তে অক্সিজেন বেশি থাকে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড কম থাকে। বিশুদ্ধ রক্ত ফুসফুসীয় শিরা এর মাধ্যমে আমাদের বাম অলিন্দে পৌঁছায় আবার বাম অলিন্দ সংকুচিত হয়ে সেই বিশুদ্ধ রক্ত বাম অলিন্দের নিচে থাকা দ্বিপত্র কপাটিকা নামের একমুখী দরজা দিয়ে পৌঁছায় বাম নিলয়ে ।
৫.৭ জলে গোলার পরে চিনিকে আর চোখে দেখা যাচ্ছে না। কী পরীক্ষা করলে তুমি বলতে পারবে যে চিনি হারিয়ে যায়নি, ঐ দ্রবণেই আছে?
উত্তরঃ i) পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ায় কাগজের মাধ্যমে জলকে ফিল্টার করলে দেখা যায় কাগজের উপরে দ্রবীভূত চিনির কিছু অংশ খিতিয়ে থাকে।
ii) বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় দ্রবীভূত চিনি ও জনের দ্রবন থেকে জল বাষ্পীভূত হয়ে গেলে চিনির কেনাস লক্ষ্য করা যায়।
Model Activity Task Class 6 Part 8
৬. তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাও : ৩×৬ = ১৮
৬.১ ‘স্ট্রেপ্টোমাইসেস হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া’ – বক্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা করো। –
উত্তরঃ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া মানুষের দেহে রোগ সৃষ্টি করে। আবার কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে যাদের থেকে বিভিন্ন জীবাণুদের মেরে ফেলার ওষুধ তৈরি হয়। এদের থেকে বিভিন্ন প্রকার ঔষধের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পাওয়া যায়। স্ট্রেস্টোমাইসেন্স হলো এমনই একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া। স্টেন্টোমাইসেস ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন প্রজাতি থেকে প্রায় পঞ্চাশটিরও বেশি ব্যাকটেরিয়া নাশক, ছত্রাক নাশক এবং পরজীবী নাশক ওষুধ পাওয়া যায়।
৬.২ জলে দ্রবীভূত হওয়ার পরে নুনকে সেই দ্রবণ থেকে ফিরে পেতে হবে। এই কাজে কোন পদ্ধতিটি – পরিস্রাবণ, না পাতন – অনুপযুক্ত এবং কেন?
উত্তরঃ জলে দ্রবীভূত হওয়ার পর নুনকে সেই ভবন থেকে ফিরে পাওয়া অনুপযুক্ত পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ায়। কারণ লুন জলের সঙ্গে দ্রবীভূত হয়ে গেলে ফিল্টার কাগজ এর মধ্য দিয়ে খুব সহজেই বেরিয়ে যায়। ভাই পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ার সাহায্যে জাল দ্রবীভূত হওয়ার পর নুনকে সেই দ্রবন থেকে ফিরে পাওয়া যায় না।
৬.৩ বল বলতে কী বোঝায় ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কোনো স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে বা গতিশীল বস্তুর বেগ বাড়াতে কমাতে বা শূন্য করে দিতে বা গতির দিক বদল করতে বাইরে থেকে যা প্রয়োগ করা হয় তাই হলো বল। যেমন গড়িয়ে আসা ফুটবলকে পা দিয়ে আটকানো, স্থির থাকা টেবিলকে টেনে সরানো। এইরকম নানা কাজে আমাদের কখনও জিনিস টানতে বা কখনও ঠেলতে হয়। এই টানা বা ঠেলা হলো বল প্রয়োগ করা।
৬.৪ মানবদেহে প্রশ্বাস আর নিশ্বাস প্রক্রিয়া কীভাবে ঘটে?
উত্তরঃ মানবদেহে পাঁজরের ফাঁকে পঞ্জর পেশি এবং বুক আর পেটের মাঝখানে ভেতরে আছে মধ্যচ্ছদা। এগুলির সাহায্যে একবার আমাদের বুকের খাঁচা ফুলিয়ে তোলা হয়, তখন বাতাস ভেতরে ঢোকে একে বলে প্রশ্বাস। আবার এই পেশিগুলো ঢিলে হয়ে গেলে বুকের খাঁচা চুপসে যায় । একে বলে নিশ্বাস ।
Model Activity Task Class 6 Part 8
৬.৫ “সমস্ত জীবাশ্ম জ্বালানির মূলেই আছে সূর্যের শক্তি” – ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ সূর্যের সৌরশক্তি খাদ্যের মধ্যে বা উদ্ভিদ দেহে রাসায়নিক শক্তি বা স্থিতি শক্তি রূপে জমা থাকে। বহু কোটি বছর আগের গাছপালার অবশেষ মাটির নিচে চাপা পড়ে ধীরে ধীরে গরমে আর চাপে কয়লায় পরিণত হয়। আবার উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ পাললিক শিলার নিচে থাকতে থাকতে বহু কোটি বছর ধরে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসে পরিণত হয়। পেট্রোলিয়াম থেকেই আমরা ডিজেল পেট্রোল বা কেরোসিন ইত্যাদি জ্বালানি পাই। তাহলে কয়লা বা পেট্রোলিয়ামে জড়ো হওয়া শক্তির উৎস হল সূর্য।
Model Activity Task Class 6 Part 8
৬.৬ তোমার বন্ধুর ওজন 60 কেজি আর উচ্চতা 4.5 ফুট। তোমার ঐ বন্ধুর দেহভর সূচক নির্ণয় করো। তোমার বন্ধুর দেহভর সূচক সম্বন্ধে তোমার মতামত লেখো।
উত্তরঃ আমরা জানি, দেহভর সূচক (BMI) = দেহের ওজন (কেজি এককে) – দেহের উচ্চতার বর্গ ( বর্গ মিটার এককে)
4.5 ফুট = 4.5 x 0.3048 মিটার = 1.37 মিটার
আমার বন্ধুর দেহভর সূচক
= 60 ÷ (1.37)2
= 60 ÷ 1.88
= 31.91
দেহভর সূচক 30 – 40 বা তার বেশি হলে তা মোটা হয়ে যাওয়া বা স্থূলত্বের নির্দেশ করে।
Model Activity Task Class 6 Part 8
Model Activity Task Class 6 Part 8 Swasthyo o Sarirsikhya
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
(ক) বহুর মধ্যে সঠিক উত্তরটি খুঁজে (V) চিহ্ন দাও (যেকোন ১৪টি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১ × ১৪ = ১৪
(১) ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার কোন রংটি নীচের দিকে থাকে?
(i) সাদা
(ii) সবুজ
(iii) গেরুয়া
উত্তরঃ (ii) সবুজ
(২) জাতীয় পতাকার সাদা রং কীসের প্রতীক ?
(i) ত্যাগ
(ii) আনন্দ
(iii) শান্তি ও পবিত্রতা
উত্তরঃ (iii) শান্তি ও পবিত্রতা
(৩) প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়
(i) ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে
(ii) ডাক্তারের দেখার পর
(iii) রোগ থেকে সেরে ওঠার পর
উত্তরঃ (i) ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে
(৪) কখন ‘স্প্লিন্ট’ ব্যবহার করা হয় ?
(i) রক্তপাত বন্ধ করতে
(ii) জ্বর কমাবার জন্য
(iii) অস্থিভঙ্গের ক্ষেত্রে
উত্তরঃ (iii) অস্থিভঙ্গের ক্ষেত্রে
(৫) সু-অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রধানত কী গুণাবলি থাকা দরকার?
(i) স্কুলের শাসন
(ii) রোগভোগ
(iii) দৃঢ় মানসিক প্রত্যয়
(iv) অভিভাবকের শাসন
উত্তরঃ (iii) দৃঢ় মানসিক প্রত্যয়
(৬) একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন কতটা পরিমাণ জল পান করতে হবে?
(i) ১ লিটার
(ii) ২.৫ – ৩ লিটার
(iii) ৩ – ৫ লিটার
(iv) 8 – ৫ লিটার
উত্তরঃ (ii) ২.৫ – ৩ লিটার
Model Activity Task Class 6 Part 8
(৭) স্বাস্থ্য কী?
(i) কেবলমাত্র শারীরিক সুস্থতা
(ii) কেবলমাত্র মানসিক সুস্থতা
(iii) কেবলমাত্র সামাজিক সুস্থতা
(iv) পরিপূর্ণ জীবনের উপযোগী শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সুস্থতার সমন্বয়
উত্তরঃ (iv) পরিপূর্ণ জীবনের উপযোগী শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সুস্থতার সমন্বয়
(৮) মাস্ক ব্যবহারের সুফল কী?
(i) শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রোগ সংক্রামিত হতে পারে না
(ii) রোগীর দেহ থেকে রোগ ছড়ায় না
(iii) শ্বাসপ্রশ্বাস ও ড্রপলেটের মাধ্যমে রোগ ছড়ায় না
(iv) করোনায় আক্রান্ত রোগী পুনরায় রোগ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারে
উত্তরঃ (iii) শ্বাসপ্রশ্বাস ও ড্রপলেটের মাধ্যমে রোগ ছড়ায় না
(৯) করোনা _________________ রোগ।
(i) ভাইরাস দ্বারা সংক্রামক রোগ
(ii) অসংক্রামক রোগ
(iii) বংশগত রোগ
(iv) মশাবাহিত রোগ
উত্তরঃ (i) ভাইরাস দ্বারা সংক্রামক রোগ
(১০) দীর্ঘক্ষণ শরীর চর্চার সময় শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখা সত্ত্বেও কি মাস্ক ব্যবহার করা উচিত?
(i) হ্যাঁ
(ii) না
(iii) অনিশ্চিত
উত্তরঃ (ii) না
Model Activity Task Class 6 Part 8
(১১) কোন ভিটামিনের অভাবে শিশুদের রাতকানা রোগ হতে পারে?
(i) ভিটামিন A
(ii) ভিটামিন C
(iii) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (i) ভিটামিন A
(১২) পরোপকার ও সমাজসেবামূলক কাজ করা।
(i) সু-অভ্যাস
(ii) কু-অভ্যাস
(iii) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (i) সু-অভ্যাস
(১৩) খাবার থালাবাসন মাজার জন্য কোন ধরনের জল ব্যবহার করা উচিত?
(i) দুষিত জল
(ii) বিশুদ্ধ জল
(iii) দূষিত বা বিশুদ্ধ জল
উত্তরঃ (ii) বিশুদ্ধ জল
(১৪) মানবদেহে জলের প্রয়োজন হয় কেন?
(i) রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করতে
(ii) পরিপাক ও দেহ গঠনে সাহায্য করতে
(iii) দেহকোশে জলের সমতা বজায় রাখতে
(iv) সবকয়টি ক্ষেত্রে
উত্তরঃ (iv) সবকয়টি ক্ষেত্রে
Model Activity Task Class 6 Part 8
(খ) উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করোঃ ১×১১ = ১১
(১) ভারতের জাতীয় পতাকার সাদা রঙের অংশটির ___________________ নীল রঙের ___________________ কাটাবিশিষ্ট চক্র বসানো থাকে।
উত্তরঃ মাঝখানে , ২৪ টি
(২) জাতীয় শোকপ্রকাশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকার দিনেও জাতীয় পতাকা প্রথমে ___________________ তুলে তারপর দণ্ডের __________________ পর্যন্ত নামাতে হবে।
উত্তরঃ উঁচুতে , অর্ধেক
(৩) আহত ব্যক্তির শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে দ্রুত কৃত্রিম, _____________________ চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উত্তরঃ উপায়ে শ্বাস প্রশ্বাস
(৪) বিদ্যালয়ের প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে কিছু প্রয়োজনীয় _________________ থাকা আবশ্যক।
উত্তরঃ ওষুধ ও জীবাণু নাশক
(৫) স্বাস্থ্য অমূল্য _____________________
উত্তরঃ সম্পদ
(৬) মধুমেহ _____________________ ব্যাধি
উত্তরঃ অসংক্রামক
(৭) বিশুদ্ধ বায়ু বর্ণ ও ___________________ হীন হবে
উত্তরঃ গন্ধ
(৮) __________________ একপ্রকার সংক্রামক রোগ।
উত্তরঃ কলেরা
(৯) রোগ, _______________________ হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
উত্তরঃ সংক্রামিত
(১০) অসংক্রামক রোগ জিনগতভাবে _____________________ থেকে আসতে পারে।
উত্তরঃ পূর্বপুরুষ
(১১) মানুষ যখন কোনো কিছু শেখে তা বারবার পুনরাবৃত্তি করে বা করার চেষ্টা করে, একেই বলে ____________________ ।
উত্তরঃ অভ্যাস
(গ) সারণির মধ্যে সমতাবিধান করোঃ
বাঁদিকের সঙ্গে | ডানদিকের অংশ মেলাও |
(ক) সবুজ রং ( ) (খ) অচৈতন্য ব্যক্তি ( ) (গ) অশোকচক্র ( ) (ঘ) ত্রিবর্ণরঞ্জিত ( ) (ঙ) স্বল্প রক্তপাত হচ্ছে ( ) (চ) প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রোগীকে ( ) | (i) ক্ষতস্থান আঙুল দিয়ে চেপে ধরতে হবে। (ii) দ্রুত জ্ঞান ফেরাতে হবে। (iii) অবাধ অগ্রগতির প্রতীক (iv) তরল জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে। (v) দ্রুত স্থানান্তরকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। (vi) সুজলা-সুফলা সমৃদ্ধ ভূমি ও তারুণ্যের প্রতীক (vii) ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা। |
উত্তরঃ
বাঁদিকের সঙ্গে | ডানদিকের অংশ মেলাও |
(ক) সবুজ রং ( vi ) (খ) অচৈতন্য ব্যক্তি ( ii ) (গ) অশোকচক্র (iii) (ঘ) ত্রিবর্ণরঞ্জিত (vii) (ঙ) স্বল্প রক্তপাত হচ্ছে (i) (চ) প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রোগীকে (v) | (i) ক্ষতস্থান আঙুল দিয়ে চেপে ধরতে হবে। (ii) দ্রুত জ্ঞান ফেরাতে হবে। (iii) অবাধ অগ্রগতির প্রতীক (iv) তরল জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে। (v) দ্রুত স্থানান্তরকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। (vi) সুজলা-সুফলা সমৃদ্ধ ভূমি ও তারুণ্যের প্রতীক (vii) ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা। |
(ঘ) নীচের ফাঁকা ছকটি পূরণ করো : ৩ × ৩ = ৯
উত্তরঃ
(৬) নীচের যোগাসনের ভঙ্গিগুলি শনাক্ত করে ছবির নীচে ফাঁকা ঘরে যোগাসনটির নাম লেখো। ১x২ = ২
- চক্রাসন
- নৌকাসন
(চ) নিজের মতো করে লেখো :
(১) সু-অভ্যাস গঠনের নিয়মগুলি লেখো।
উত্তরঃ সু-অভ্যাস গঠনের নিয়মগুলি হল-
১. দীর্ঘ মানসিক প্রত্যয়:- সু-অভ্যাস গঠন করতে হলে দৃঢ় মানসিক প্রত্যয় দরকার। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে কাজ শুরু করলে যে কোনো সু- অভ্যাস গঠন করা যায়। প্রতিদিন যদি সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গঠন করতে চাও, যতই ঘুম পাক ভোরে উঠতেই হবে এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে শুতে হবে।
২. সুদ্দেশ্য:- সু-অভ্যাস গঠনের জন্য যেন সদুদ্দেশ্য থাকে। ভালো উদ্দেশ্য নিয়েই সু-অভ্যাস গড়ে ওঠে।
৩. শারীরিক ও মানসিক তৎপরতা:- সু- অভ্যাস গঠন করতে হলে শারীরিক ও মানসিক তৎপরতা দরকার। সময় নষ্ট না করে সাথে সাথে দ্রুততার সঙ্গে কাজে নেমে পড়তে হবে। যদি মনে করো ফলের চাষ করবে, তবে তাড়াতাড়ি হাতের কাছে যতটুকু জমি আছে তা কাজে লাগিয়ে ফলের গাছ পুঁতে দাও, বসে থাকলে চলবে না।
৪. নিয়মিত অভ্যাস:- সু-অভ্যাস গঠন করতে হলে কাজটা বারবার বা নিয়মিত করতে হবে। একদিন করে বসে থাকলে সেটি অভ্যাস হবে না। ব্যায়াম বা শরীরচর্চার অভ্যাস করতে হলে, তা নিয়মিত বা রোজ অনুশীলন করতে হবে।
(২) অসংক্রামক রোগের কারণগুলি তালিকাভুক্ত করো।
উত্তরঃ অসংক্রামক রোগের কারণ গুলি হলঃ
১.জিনগতভাবে পূর্বপুরুষ থেকে আসতে পারে ।
২. অপুষ্টিজনিত কারণে হতে পারে ।
৩. খুব বেশি মানসিক চাপের (দুশ্চিন্তা) জন্য হতে পারে ।
৪. শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ লবণের অভাবে অসংক্রামক রোগ হতে পারে।
(৩) নভেল করোনা ভাইরাস রোগ প্রতিরোধে আমাদের কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে?
উত্তরঃ ১. বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
২. সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে।
৩. হাঁচি বা কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
৪. বহু লোক উপস্থিত আছে এমন স্থান বর্জন করতে হবে।
৫. শরীরে যদি জ্বর বা অন্য উপসর্গ দেখা দেয় তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
৬. রাস্তাঘাটে চলার সময় মুখে অবশ্যই মার্ক্স ব্যবহার করতে হবে এবং সাথে সেনিটাইজার রাখতে হবে।
Model Activity Task Class 6 Part 8
Model Activity Task Class 6 Part 8 Math
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 Part 8 গণিত
উপরের Model Activity Task Class 6 Part 8 এর পুরোটাই সম্পূর্ণ ভাবে প্রশ্ন উত্তর সহ আলোচনা করা হয়েছে। তোমাদের এই Model Activity Task Class 6 Part 8 কেমন লাগলো সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিও। কারণ তোমাদের মূল্যবান কমেন্ট আমাদের নতুন কাজ করতে উৎসাহিত করে।
Model Activity Task Class 6 Part 8
এটি তোমাদের স্কুল খোলা হলে জমা দিতে বলা হতে পারে। তাই জন্য এটা অবশ্যই তোমার বন্ধুদের সাথে Whatsapp, Facebook ইত্যাদিতে শেয়ার করে দিও।
Model Activity Task Class 6 Part 8
ক্লাস six এর অংক প্রশ্নে 2 – এর vi নম্বর সত্য লিখেছেন,
কিন্তু 5 এর রোমান হরফ কি IIIII হয় কি?
5 এর রোমান হরফ V হয়।
তাই প্রদত্ত তথ্যটি মিথ্যা।