[New] October Model Activity Task Class 7 Part 7 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
আমাদের প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা, তোমাদের সুবিধার জন্য আমরা আবারো পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ দ্বারা সপ্তম শ্রেণীর জন্য October মাসে যে Model Activity Task Class 7 Part 7 দেওয়া হয়েছে তার বিশদ ভাবে উত্তর সহ আলোচনা করা হলো। যেটি আশা করা যাচ্ছে পুজোর পর যখন স্কুল খোলা হলে জমা দিতে হবে আর তোমরা এই পোস্ট এ Model Activity Task Class 7 Part 7 এর সমস্ত প্রশ্নের বিষয়ভিত্তিক আলোচনা দেখতে পারবে। এখানে Model Activity Task Class 7 Part 7 All Subject এর সমাধান দেওয়া হলো।
আমাদের ওয়েবসাইট Amartarget.com এ সবসময় যেকোনো শ্রেণীর Model Activity Task খুব দ্রুততার সাথে আপলোড করা হয়ে থাকে । পরবর্তী Model Activity Task Class 7 Part 8 সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল, ফেইসবুক পেজ Join করে রাখো।
Model Activity Task Class 7 Part 7 All Subject
- Model Activity Task Class 7 Part 7 All Subject
- Model Activity Task Class 7 Part 7 Bengali
- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 Part 7 বাংলা
- Model Activity Task Class 7 Part 7 English
- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 Part 7 ইংরেজি
- Model Activity Task Class 7 Part 7 History
- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 Part 7 ইতিহাস
- Model Activity Task Class 7 Part 7 Paribesh O Bhugol
- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 Part 7 পরিবেশ ও ভূগোল
- Model Activity Task Class 7 Part 7 Paribesh O Bigyan
- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 Part 7 পরিবেশ ও বিজ্ঞান
- Model Activity Task Class 7 Part 7 Swasthyo O Sharirsikhya
- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 Part 7 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
Model Activity Task Class 7 Part 7 Bengali
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 Part 7 বাংলা
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : ৩×৫=১৫
১.১ ‘তার চলবার ভঙ্গিটি বড়ো মজার।’ -কার চলবার ভঙ্গিটি বড়ো মজার ? তার চলার ভঙ্গি প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক কী জানিয়েছেন ?
উত্তর- প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘কার দৌড় কদ্দূর’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই প্রবন্ধে অ্যামিবার চলার ভঙ্গির কথা বলা হয়েছে।
এককোশী অ্যামিবা তার দেহের খানিক প্রোটোপ্লাজম সামনে গড়িয়ে দেয়, এর ফলে সৃষ্টি হয় ক্ষণপদ। আর এই ক্ষণসদের সাহায্যেই প্রোটোপ্লাজমের দিকে সে এগিয়ে যায়, কয়েক মিনিটে তার কয়েক মিলিমিটার পথ মন্থর গতিতে চলাফেরার ভঙ্গিটিকে লেখক মজার বলে উল্লেখ করেছেন।
১.২ ‘কার নাম দুন্দুভি ? কাকে বলে অরণি ?? – প্রশ্ন দুটি তোমাকে করা হলে তুমি কী উত্তর দেবে ? –
উত্তর- উদ্বৃত অংশটি সুকুমার রায়ের লেখা ‘নোটবই’ কবিতার অংশ।
দুন্দুভি শব্দের অর্থ হলো ‘ঢাক’ এবং অরণি শব্দের অর্থ হলো ‘চিত্রক গাছ’ বা চকমকি পাথর।
১.৩ ওই পাহাড়টার নাম জানো ? – প্রশ্নকর্তার পরিচয় দাও। তিনি কাকে এই প্রশ্ন করেছেন। শ্রোতা তার উত্তরে কী জানিয়েছেন ?
উত্তর- প্রশ্নকর্তা হলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘মেঘ-চোর’ গল্পের বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি।
পুরন্দর চৌধুরি অসীমাকে এই প্রশ্ন করেছিলেন।
এখানে শ্রোতা হলেন অসীমা। আলাস্কার আকাশ থেকে নীচের দিকে সোনালি রঙের পাহাড়টি দৃষ্টি আকর্ষন করলে বিজ্ঞানী সেটিরনাম জানতে চান।অসীমা ইতিহাসের ছাত্রী হলেও ভূগোল সে ভালোই জানতো। তাই সে অকপটে উত্তর দিয়েছিল পাহাড়টির নাম মাউন্টচেম্বারলিন এবং পাশের হ্রদটি হলো শ্রেভার লেক।
১.৪ পুলিনবিহারী সেন ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে’ গানটি রচনার উপলক্ষ জানতে চেয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চিঠি লিখলে তিনি কী উত্তর দিয়েছিলেন ?
উত্তর- ‘বিশ্বভারতী’ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট ছাত্র পুলিনবিহারী সেন বহু প্রবন্ধগ্রন্থের রচয়িতা। রবীন্দ্রনাথের রচনা ব্যাখ্যায় তাঁর প্রবন্ধগুলি আজও আদর্শস্থানীয়। পুলিনবিহারী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের অত্যন্ত প্রিয় পাত্র ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর নানা বিষয়ে পত্রালাপ চলত। সেই প্রসঙ্গেই তিনি কবির কাছে ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে’ গানটি রচনার উপলক্ষ্য জানতে চাইলে রবীন্দ্রনাথ তাঁকে চিঠিতে লিখে জানান যে, কবির কোনো এক রাজসরকারে প্রতিষ্ঠাবান বন্ধু ভারতসম্রাটের আগমন উপলক্ষ্যে তাঁকে গান রচনা করতে অনুরোধ করলে তিনি গানটি রচনা করেন।
১.৫ ‘ভেসে যায় নামগুলি’ – কোন্ নামগুলি, কোথায়, কেন ভেসে যায় ?
উত্তর- কামিনী রায় রচিত ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতায় যে সব ক্ষমতালোভী, সাম্রাজ্যবাদীরা বিশাল স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে নিজেদের নাম অক্ষয় রাখতে চাই তাদের নামের কথা এখানে বলা হয়েছে।
আলোচ্য উদ্ধৃতিটির মধ্য দিয়ে কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে, সাম্রাজ্যের ক্ষমতালোভী শাসকের দল কেবলই নিজেদের ক্ষমতার দম্ভে বিশাল বিশাল প্রাসাদ বা অট্টালিকা নির্মাণ করেছে, তাতে মানুষের কোনোই উপকার হয়নি। তাই মানুষের মনে তাদের কোনোই জায়গা হয়নি। একসময় কালের নিয়মে সেই প্রাসাদ বা অট্টালিকাগুলি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং তাদের নাম কালের স্রোতে ভেসে গিয়েছে।
২. নির্দেশ অনুসারে নীচের ব্যাকরণগত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : ১×৩=৩
২.১ বাক্যে প্রয়োগ করো :
২.১.১ ঝিরঝির
উত্তর- ঝিরঝির :- সকাল থেকে ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ে চলেছে।
২.১.২ টাপুর-টুপুর
উত্তর- টাপুর-টুপুর :- বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর।
২.১.৩ খিলখিল
উত্তর- খিলখিল :- শিশুটি খিল খিল করে উঠলো।
২.২ নীচের বাক্যগুলিতে শব্দদ্বৈতগুলির প্রয়োগ বৈশিষ্ট্য দেখাও : ১×২=২
২.২.১. ঠেলাঠেলির মধ্যে না যাওয়াই ভালো।
উত্তর- আলোচ্য বাক্যে ‘ঠেলাঠেলি’ একটি শব্দদ্বৈত এবং এর মধ্য দিয়ে ‘অস্বাচ্ছন্দ্য অর্থ’ (ভিড়ের মধ্যে) প্রকাশিত।
২.২.২. দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে এল।
উত্তর- প্রদত্ত বাক্যে ‘দেখতে দেখতে’ একটি শব্দদ্বৈত এবং এর মধ্য দিয়ে ‘সমকালীনতা’ ভাবটি প্রকাশিত।
Model Activity Task Class 7 Part 7
Model Activity Task Class 7 Part 7 English
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 Part 7 ইংরেজি
1. Read the following verse and answer the questions that follow:
The people were starving. They came to Ceres and implored her to bring back plenty, and save their lives. Ceres lifted her face, weary with ceaseless wandering, and said, “I cannot take care of the earth until I get back my lost daughter.”
So the people thought of praying to Jupiter who was the king of the gods. And to Jupiter they sent their prayer to bring Proserpine back to her mother. They were sadly in need of Ceres’s help.
A. Complete the following sentences: 1 x 3 = 3
(i) The people were starving so _______________________________________
Ans: they came to Ceres and implored her to bring back plenty and saved their lives.
(ii) Ceres’s face was weary because ________________________________________
Ans: after ceaseless searching , she could not find her lost daughter.
(iii) The people prayed to Jupiter because ________________________________________
Ans: Ceres could not take care of the earth and the people were starving .
B. Answer the following questions: 2×3=6
(1) Who was Jupiter?
Ans: Jupiter was the king of the gods.
(ii) What the people implore Ceres?
Ans: The People implored ceres to bring back plenty and save their lives
(iii) What did Ceres tell the people?
Ans: Ceres told the people that she could not take care of the earth until she got back her lost daughter.
2. Do as directed: 1 x 4 = 4
(i) Don’t eat the rotten apples. (Identify the participial adjective)
Ans: rotten
(ii) I am sorry, I ____________ help you. (Fill in the blanks with the negative form of the modal)
Ans: Can’t
(iii) His application was rejected. (Replace the underlined word with its antonym)
Ans: His application was accepted.
(iv) Bumrah bowls _______________ (fast) than Anderson. (Use the correct degree of adjective)
Ans: faster
3. Write a paragraph (in about 70 words) on “The subject you like most using the following hints: 7
Hints: your favourite subject-reason-time you give in reading the subject-type of books you consult persons who helped to create interest
The Subject I Like Most
In our class I have to read many subjects. But my favourite subject is English. When I learn a new rule of grammar or learn the meaning of a new word I find great joy. Whenever I see someone speaking in English I look at him on her with wonder. I wish verymuch to speak in English fluently. My father has created in me a great interest in English. I think, I will be the happiest of men when I will be able to read and understand english poetry and short stories written in English.
Model Activity Task Class 7 Part 7
Model Activity Task Class 7 Part 7 History
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 Part 7 ইতিহাস
১. ‘ক’ স্তম্ভের সাথে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও: ১ x ৪ = 8
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
১.১ পানিপতের প্রথম যুদ্ধ | (ক) ১৫২৯ খ্রি: |
১.২ খানুয়ার যুদ্ধ | (খ) ১৫২৬ খ্রি: |
১.৩ ঘর্ঘরার যুদ্ধ | (গ) ১৫৩৯ খ্রি: |
১.৪ চোসার যুদ্ধ | (ঘ) ১৫২৭ খ্রি: |
উত্তর-
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
১.১ পানিপতের প্রথম যুদ্ধ | (খ) ১৫২৬ খ্রি: |
১.২ খানুয়ার যুদ্ধ | (ঘ) ১৫২৭ খ্রি: |
১.৩ ঘর্ঘরার যুদ্ধ | (ক) ১৫২৯ খ্রি: |
১.৪ চোসার যুদ্ধ | (গ) ১৫৩৯ খ্রি: |
২. শূন্যস্থান পূরণ করো : ১ x ৪ = 8
২.১ আদিল শাহের প্রধানমন্ত্রী হিমু _________________ দখল করেছিলেন।
উত্তর- দিল্লি শহর
২.২ আকবর __________________ যুদ্ধে আফগানদের হারিয়ে দেন।
উত্তর- পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধ
২.৩ মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায় _________________ আমলে।
উত্তর- শাহ জাহানের
২.৪ মুঘলরা বিজাপুর ও গোলকোন্ডা দখল করে __________________ রাজত্বকালে।
উত্তর- ঔরঙ্গজেবের
৩. দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও : ২ x ৩=৬
৩.১ ‘জাবতি’ কী ?
উত্তর- ভারতবর্ষ ছিল কৃষিনির্ভর দেশ। তাই ভালভাবে শাসন পরিচালনা করতে হলে ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। আলাউদ্দিন খলজির আমল থেকেই রাজস্বের পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য জমি জরিপ করার বা মাপার ব্যবস্থা ছিল। পরে শেরশাহর সময়ও জমি মাপা হয়। আকবর নতুন করে জমি জরিপ করান। জমি জরিপের ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণ করার পদ্ধতিকে বলা হয় ‘জাবতি’।
৩.২ ‘মনসব’ কী ?
উত্তর- মনসব একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ উঁচু স্থান, যেখানে কিছু রাখা যায়। এই শব্দটি মোঘল প্রশাসনের পদ বা সম্মান বা অফিস অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এই পদের অধিকারীকে মনসবদার বলা হয়। মোঘল সম্রাট আকবর মনসবদারকে সমস্ত সামরিক দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত করেন। যুদ্ধকালে এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনে প্রত্যেক মনসবদার তার পদমর্যাদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক সৈন্য, অশ্ব, হস্তী ইত্যাদি দ্বারা সামরিক সাহায্য প্রদানে বাধ্য থাকতেন।
৩.৩ বারো ভূঁইয়া নামে কারা পরিচিত ছিলেন ?
উত্তর- আকবরের ছেলে ও উত্তরসূরি জাহাঙ্গিরের সময় (১৬০৫-১৬২৭ খ্রিস্টাব্দ) বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা মুঘলদের বিরুদ্ধে বার বার বিদ্রোহ করেছে। এই বিদ্রোহীরা এক সঙ্গে ‘বারো ভূঁইয়া’ নামে পরিচিত ছিলেন। এদের মধ্যে প্রতাপাদিত্য, চাঁদ রায়, কেদার রায়, ইশা খান প্রমুখ ছিলেন উল্লেখযোগ্য।
৪. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও : ৩ x ২ = ৬
৪.১ আবুল ফজল ও আবদুল কাদির বদাউনি কারা ছিলেন ?
উত্তর- আকবরের আমলের এক বিখ্যাত ঐতিহাসিক ছিলেন আবুল ফজল আল্লামি । তিনি আকবরের গুণাবলি সম্বন্ধেই লিখেছিলেন। কিন্তু যে কোনো সময়ের ইতিহাস জানতে হলে শুধু ভালো কথা জানলেই হয় না। সে যুগের সমস্যার কথাও জানতে হয়। এই ধরনের সমালোচনা পাওয়া যায় সে যুগের আর একজন ঐতিহাসিক আব্দুল কাদির বদাউনির লেখায়। এঁরা দুজনেই মুঘল দরবারে এসেছিলেন ১৫৭৪ খ্রিস্টাব্দে কিন্তু আবুল ফজল হয়ে উঠেছিলেন আকবরের প্রিয় পাত্র। একই ঘটনার দু-ধরনের বিবরণ পাওয়া যায় এঁদের দুজনের লেখায়।
৪.২ তুমি কী মনে করো যে রাজপুত নীতির দ্বারা মুঘলরা ভারতীয় শাসকদের মুঘল প্রশাসনের অঙ্গীভূত করেছিল ? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর- মুঘল সম্রাটদের রাজপুতনীতি ধর্মীয়নীতি সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। একটিকে অপরটি থেকে পৃথকভাবে দেখা খুব সহজ নয়। রাজপুতনীতি শুধু ধর্মীয় দিক নয় এর একটি রাজনৈতিক দিকও ছিল। বাবর, হুমায়ুন ও আকবরকে পাঠান বা আফগানদের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখিন হতে হয়। এমনকি কিছুকালের জন্য তারা হুমায়ুনের থেকে সিংহাসন কেড়ে নেয়।
আকবরের আমলেই কতিপয় রাজপুত নেতা জাহঙ্গীর ও খসরুর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করে মুগল দরবারে দুটি পৃথক রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা করে। শাহজাহানের রাজত্বকালেও তার পুত্রদের মধ্যে দ্বন্দ্বে রাজপুতেরা সক্রিয়ভাবে দলগত সমর্থন দান করে এমন এক ব্যক্তিকে, যার দ্বারা তাদের রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি হতে পারে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সম্রাটরা রাজপুতদের নিয়ে ভিন্ন নীতি গ্রহণ করেন। বেশিরভাগ সম্রাটই চেয়েছিলেন তাদের সাথে সমতা বজায় রাখতে। রাজপুতদের সাথে সেই প্রাচীনকাল থেকেই মুসলিমদের দ্বন্দ্ব চলতে থাকলেও আকবর রাজপুতদের মাঝে একটি সম্ভাবনা দেখেছিলেন। মূল স্রোত থেকে হারিয়ে যাওয়া রাজপুত শক্তিকে আকবর তাই তার তত্বাবধায়নে হিন্দুস্তানের রাজনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন।
রাজপুতদের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য সম্রাট আকবর কয়েকটি নীতি অনুসরণ করেছিলেন। যেমন-বৈবাহিক সম্পর্কের নীতি, উচ্চ রাজপদে নিয়োগের নীতি, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের নীতি এবং যুদ্ধনীতি। রাজপুতরা মনে করতেন আকবর অন্যান্য মুসলিম শাসকদের তুলনায় ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তুলনামূলক বেশি উদার। রাজপুতদের প্রতি উদার নীতির কারণে এভাবেই আকবর তার গ্রেট মুঘল হিন্দুস্তান গঠনে রাজপুতদের সহশক্তি হিসেবে পাশে পেয়েছিলেন। মুঘল সম্রাট আকবরের কূটনৈতিক বিচক্ষণতার শ্রেষ্ঠ পরিচয় ছিল তার এই রাজপুত নীতি। হিন্দুস্তানের শৌর্যবীর্যের প্রতীক রাজপুতদের সঙ্গে সম্রাট আকবর মৈত্রীর সম্পর্ক তৈরি করতে সচেষ্ট ছিলেন। রাজপুতরাও মুঘল সাম্রাজ্যের শক্তিতে পরিণত হয়েছিল। এই আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে কিছু মুঘল সম্রাটের রাজপুতনীতির ফলে রাজপুতরা মুঘল প্রশাসনে অঙ্গিভূত হয়েছিল।
Model Activity Task Class 7 Part 7
Model Activity Task Class 7 Part 7 Paribesh O Bhugol
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 Part 7 পরিবেশ ও ভূগোল
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো : ১ x ৪ = ৪
১.১ ভূআলোড়নের ফলে সৃষ্ট ফাটলগুলোর মাঝের ভূভাগ ওপরে উঠে যে ভূমিরূপ সৃষ্টি করে তা হলো—
ক) মহাদেশীয় মালভূমি খ) স্তূপ পর্বত গ) আগ্নেয় পর্বত ঘ) লাভা মালভূমি
উত্তর- খ) স্তূপ পর্বত
১.২ দুটি নদীর মধ্যবর্তী স্থলভাগ হলো
ক) নদী অববাহিকা খ) দোয়ার গ) মোহনা ঘ) ধারণ অববাহিকা
উত্তর- খ) দোয়ার
১.৩ একটি পাললিক শিলার উদাহরণ হলো
ক) গ্রানাইট খ) ব্যাসল্ট গ) মার্বেল ঘ) চুনাপাথর
উত্তর- ঘ) চুনাপাথর
১.৪ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো
ক) দক্ষিণ আফ্রিকা – উয় জলবায়ু
খ) চিনদেশীয় জলবায়ু – খেজুর গাছ
গ) জাম্বেজি নদী – ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
ঘ) আফ্রিকার পূর্ব দিক – ভূমধ্যসাগর
উত্তর- গ) জাম্বেজি নদী – ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
২. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও : ১ x ৪ = ৪
২.১ ভারতের একটি পলিগঠিত সমভূমির নাম লেখো।
উত্তর- সিন্ধু গঙ্গা ব্রহ্মপুত্রের সমভূমির
২.২ নদীর কোন প্রবাহে ভূমির ঢাল বেশি থাকায় নদীর শক্তি বৃদ্ধি পায় ?
উত্তর- পার্বত্য প্রবাহে
২.৩ কোন শ্রেণির মৃত্তিকায় বালি ও কাদার পরিমাণ প্রায় সমান থাকে ?
উত্তর- দোআঁশ মৃত্তিকায়
২.৪ দক্ষিণ আফ্রিকার তৃণভূমি কী নামে পরিচিত?
উত্তর- ভেল্ড
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২ x ২ = ৪
৩.১ নদীর মোহনায় ব-দ্বীপ সৃষ্টির দুটি শর্ত উল্লেখ করো।
উত্তর- নদীর মোহনায় ব-দ্বীপ সৃষ্টির দুটি শর্ত :
১. পলির পরিমানের আধিক্য – বদ্বীপ গঠনের অন্যতম প্রধান শর্ত হল নদী দ্বারা বাহিত পলির পরিমান । সমুদ্র তরঙ্গ বা সমুদ্র স্রোত যে পরিমান পলি অপসারন করতে সক্ষম তার থেকে বেশি হতে হবে। তবেই সমুদ্র গর্ভে ক্রমশ পলি সঞ্চিত হয়ে বদ্বীপের বিকাশ ঘটবে।
২. দীর্ঘ মধ্য ও নিম্ন প্রবাহ – সমভূমি অংশে নদীর মধ্য ও নিম্ন প্রবাহ বেশি হলে মোহনার নিকট স্রোতের বেগ হ্রাস পায়, ফলে বাহিত পলিরাশির সঞ্চয়ের পরিমান বৃদ্ধি পায় ও দ্রুত বদ্বীপ গঠিত হয়।
৩.২ ‘জলবায়ু মৃত্তিকা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান নিয়ন্ত্রক বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
উত্তর- মৃত্তিকা সৃষ্টির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো জলবায়ু। জলবায়ু মাটি তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। উষ্ণ ও বৃষ্টিবহুল জলবায়ুতে তাড়াতাড়ি মাটির তৈরি হয়। আবার শীতল ও শুষ্ক অঞ্চলে মাটি তৈরি হতে সময় লাগে। তাই উষ্ণ ও আর্দ্র অঞ্চলে মাটির গভীরতা বেশি হয়।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩ x ১ = ৩
৪.১ সাহারার জলবায়ু কীভাবে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে।
উত্তর- সাহারা মরুভূমি পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বৃহত্তম এবং উষ্ণতম মরুভূমি। এই মরুভুমি স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনে বেশ প্রভাব ফেলে। নিম্নে তা সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
ক) এই স্থানে দিনের বেলা ভীষণ গরম থাকে প্রায় 58 ডিগ্রী সেলসিয়াস। রাত্রেবেলা বেশ ঠান্ডা প্রায় 4 ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাত ও দিনের তাপমাত্রা এত পার্থক্য বেশি হওয়ায় এই স্থানের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রায় পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
খ) এই স্থানের ক্যাকটাস জাতীয় গাছপালা দেখা যায় যেমন ঘাস, খেজুর ইত্যাদি। এই স্থানে খাদ্যের অসুবিধা থাকায় মানুষেরা সাধারণত যাযাবর হয়। উট নিয়ে নিয়ে এরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়।
গ) পশুর দুধ, মাংস এদের প্রধান খাদ্য এছাড়াও এই স্থানের বিশেষ কিছু গাছের রস এরা পানীয় হিসেবে পান করে।
সময়ের সাথে সাথে সাহারা পাল্টাচ্ছে জায়গায় জায়গায় ঘাস লাগানো হচ্ছে রাস্তা বানানো হচ্ছে। উটের বদলে ট্রাকের দ্বারা ব্যবসা করা হচ্ছে সুদূর ভবিষ্যতে বোধহয় সাহারার এই রুক্ষ ভয়াল চেহারা আর থাকবে না।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৫ x ১ = ৫
৫.১ ভঙ্গিল পর্বত ও আগ্নেয় পর্বত সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করো।
উত্তর- ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি : ভঙ্গ বা ভাঁজ থেকে ভঙ্গিল শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। কোমল পাললিক শিলায় ভাঁজ পড়ে যে সব পর্বত গঠিত হয়েছে তাদের ভঙ্গিল পর্বত বলে। বর্তমানে যে স্থানে বিশালাকার ভঙ্গিল পর্বতগুলি অবস্থান করছে, সেই স্থানে পর্বত সৃষ্টির পূর্বে ছিল এক বিশাল অগভীর সমুদ্র বা মহীখাত। হাজার হাজার বছর ধরে ওইসব মহীখাতে উভয়দিকের স্থলভাগের ক্ষয়প্রাপ্ত পলি সঞ্চিত হলে মহীখাতের তলদেশ ক্রমশ বসে যায়। খাতের তলদেশ ক্রমশ বসে গেলে পার্শ্ববর্তী ভূখণ্ড ক্রমশ মহীখাতের দিকে সরে আসতে থাকে এবং প্রবল চাপের ফলে মহীখাত ক্রমশ সরু ও গভীর হতে থাকে। এর ফলে মহীখাতে সঞ্চিত পাললিক শিলাস্তর সঙ্কুচিত হয় ও ভাঁজ যুক্ত হয়ে উপরে উঠে যায়। এইভাবে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়।
আগ্নেয় পর্বত সৃষ্টি : ভূ-অভ্যন্তরের উত্তপ্ত তরল ম্যাগমা ভূত্বকের কোনা দূর্বল স্থান বা আগ্নেয়গিরির জালামুখ থেকে ক্রমাগত লাভারূপে নির্গত হয়ে ঠান্ডা ও কঠিন হয়ে যে পর্বত গঠন করে তাকে আগ্নেয় পর্বত বলে। দুটি মহাদেশীয় মহাসাগরীয় পাত মুখোমুখি অগ্রসর হলে তাদের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ ঘটে এবং ভারী নিমজ্জিত পাতটি গলে গিয়ে ম্যাগমা শিলাস্তরের ফাটল পথে ভূপৃষ্ঠে চলে এসে সঞ্চিত হয়ে আগ্নেয় পর্বতের সৃষ্টি করে।
Model Activity Task Class 7 Part 7
Model Activity Task Class 7 Part 7 Paribesh O Bigyan
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 Part 7 পরিবেশ ও বিজ্ঞান
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করো : ১×৩=৩
১.১. তড়িতের সুপরিবাহী পদার্থটি হলো
(ক) প্লাস্টিক
(খ) চিনেমাটি
(গ) কাঠ
(ঘ) তামা
উত্তর- (ঘ) তামা
১.২ সমতল আয়নায় প্রতিফলনের ফলে যে অক্ষরটির পার্শ্বীয় পরিবর্তন হবে না তা হলো
(ক) R
(খ) S
(গ) O
(ঘ) C
উত্তর- (গ) O
১.৩ ফুলের যে অংশটা ফলে পরিণত হয় সেটা হলো
(ক) বৃতি
(খ) দলমণ্ডল
(গ) পরাগধানী
(ঘ) ডিম্বাশয়
উত্তর- (ঘ) ডিম্বাশয়
২. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ১×৩=৩
২.১ একটি বাল্বের তাপ ও আলোকশক্তির উৎস কী ?
উত্তর- একটি বাল্বের তাপ ও আলোকশক্তির উৎস হল ধাতব ফিলামেন্ট।
২.২ উদ্ভিদের মূলত্রের কাজ কী ?
উত্তর- উদ্ভিদের মূলত্রের কাজ গুলি হলো নিম্নরূপ
ক) মূলত্র মূলের নরম অগ্রভাগকে মাটির ঘর্ষণজনিত আঘাত থেকে রক্ষা করে।
খ) মূলত্র থেকে একপ্রকার পিচ্ছিল রস বের হওয়ায় মূল অতি সহজেই মাটির ভিতরে প্রবেশ করে।
২.৩ মৃদভেদী ও মৃদবর্তী অঙ্কুরোদগমের মধ্যে একটি পার্থক্য উল্লেখ করো।
উত্তর- মৃদভেদী অঙ্কুরোদগমের ক্ষেত্রে বীজের বীজপত্র মাটির মধ্যে থাকে।
কিন্তু মৃদবর্তী অঙ্কুরোদগমের ক্ষেত্রে বীজের বীজপত্র মাটির ওপরে উঠে আসে।
৩. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও : ২×৪=৮
৩.১ একটি দণ্ডচুম্বকের ‘উদাসীন অঞ্চল’ বলতে কী বোঝায় তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর- দণ্ডচুম্বকের দুই মেরুর মধ্যবর্তী অঞ্চলে কোনোরকম আকর্ষণ বা বিকর্ষণ ক্ষমতা না থাকায় এই অঞ্চলটিকে উদাসীন অঞ্চল বলা হয় ।
৩.২ অভিসারী ও অপসারী আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বোঝায় তা ছবি এঁকে বোঝাও।
উত্তর-
অভিসারী আলোকরশ্মিগুচ্ছ :
যদি কোনও আলোকরশ্মিগুচ্ছের রশ্মিগুলি আলোর গতির কোনো বিন্দুতে মিলিত হয় তখন ওই রশ্মিগুচ্ছকে অভিসারী আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলে।
অপসারী আলোকরশ্মিগুচ্ছ :
যদি কোনও আলোর আলোকরশ্মিগুলি এমন হয় যে, তারা নির্দিষ্ট কোনও বিন্দু থেকে নির্গত হয়ে রশ্মিগুলো আলোর গতির পরস্পর থেকে দূরে সরে যায় তবে ওই রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলে।
৩.৩ উদ্ভিদের পাতার প্রধান কাজ কী কী ?
উত্তর-
ক) পাতায় ক্লোরোফিল থাকায় খাদ্য তৈরি করতে পারে। তাই পাতাকে ‘গাছের রান্নাঘর’ বলে।
খ) পাতায় থাকা পত্ররন্ধ্র জলীয় বাষ্প ত্যাগ ও গ্যাসীয় পদার্থের বিনিময়ে সাহায্য করে।
৩.৪ “ব্যাকটেরিয়াঘটিত নানা রোগের চিকিৎসায় পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়”। ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগে এই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তর- অ্যান্টিবায়োটিক কয়েক ধরণের জৈব-রাসায়নিক ঔষধ যা অণুজীবদের (বিশেষ করে ব্যাক্টেরিয়া) বৃদ্ধিরোধ করে। সাধারানত এক এক অ্যান্টিবায়োটিক এক এক ধরণের অণুজীব তৈরি করে ও অন্যান্য অণুজীবের বিরুদ্ধে কাজ করে। আমাদের শরীর বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে রোগগ্রস্ত হয়। পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন সেই ব্যাকটেরিয়া গুলিকে ধ্বংস করে ফলে শরীর সুস্থ হয়। ব্যাকটেরিয়াঘটিত নানা রোগের চিকিৎসায় পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয় হয়।
৪. তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাও : ৩×২=৬
৪.১ একটি বিস্তৃত আলোক উৎস ও বিস্তৃত অস্বচ্ছ বস্তু নিয়ে পরীক্ষা করলে, কীভাবে পর্দায় প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া গঠিত হবে তা ছবি এঁকে চিহ্নিত করো।
উত্তর-
PQ বিস্তৃত আলোক উৎস। এই আলোক উৎসকে অসংখ্য বিন্দু আলোক উৎসের সমষ্টি ধরা যেতে পারে।
P হিন্দু থেকে আসা APB ফানেল আকৃতির অংশের আলোক রশ্মিগুচ্ছের কোনো অংশই পর্দায় পৌঁছোতে পারেনি কারণ তারা AB অস্বাচ্ছ বস্তুতে বাধা পেয়েছে। তাই GF অংশে ছায়া সৃষ্টি হয়েছে। আবার একইরকম ভাবে Q বিন্দু থেকে আসা AQB ফানেল আকৃতির অংশের আলোকরশ্মিগুচ্ছের কোনো অংশই পর্দায় পৌঁছোতে পারেনি কারণ AB -তে তারা বাধা পায়। ফলে EH অংশে অন্ধকার গঠিত হয়েছে।
৪.২ “বন্ধ নদমা বা সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নামার আগে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি” – উপযুক্ত – কারণসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর- বন্ধ নর্দমায় তথা সেপটিক ট্যাংকে বিশেষ প্রকারের মারাত্মক ধরনের গ্যাসের মিশ্রণ থাকে। এই গ্যাস মিশ্রণকে sewer gas বলা হয়ে থাকে। এই গ্যাস মিশ্রণে প্রধানত মিথেন (CH4), হাইড্রোজেন সালফাইড (H2S), কার্বন ডাই অক্সাইড (Co2), কার্বন মনোক্সাইড (CO), সামান্য পরিমাণে হাইড্রোজেন সায়ানাইড (HCN) থাকে।
কার্বন মনোক্সাইড খুবই মারাত্মক গ্যাস এছাড়া হাইড্রোজেন সায়ানাইড প্রাণঘাতী মারাত্মক গ্যাস, কার্বন মনোক্সাইড আমাদের রক্তের হিমোগ্লোবিন এর সাথে মিশে যায় এবং কারবক্সি হিমোগ্লোবিন নামে একটি যৌগ গঠন করে। রক্তে কারর্বক্সি হিমোগ্লোবিন যৌগ গঠিত হলে হিমোগ্লোবিন নিজস্ব কাজ অর্থাৎ দেহকোষে অক্সিজেন সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয় যার ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই বন্ধ নর্দমা বা সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নামার আগে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
Model Activity Task Class 7 Part 7 Swasthyo O Sharirsikhya
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 Part 7 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
স্বাস্থ্যশিক্ষা ও যোগাসন
১। শূন্যস্থানটি পূরণ করো : ১ × ৫ = ৫
(ক) _________________ দেহ ও মনের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে, যা স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
উত্তর- খেলাধুলা
(খ) ব্যায়াম পেশির __________________ প্রতিকারের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
উত্তর- সংকোচণহীনতার
(গ) পরিমিত খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের দ্বারা __________________ দূর করা সম্ভব।
উত্তর- অনিদ্রা
(ঘ) যখন তখন _____________________ পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
উত্তর- ঘুমিয়ে
(ঙ) প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালোরি প্রয়োজন তার থেকে ২০০০ ক্যালোরি কম খাবার গ্রহণ করতে চাইলে অবশ্যই __________________ পরামর্শ নিতে হবে।
উত্তর- বিশেষজ্ঞের
২। নীচের ছবি দেখে ছবির নীচে ফাঁকা ঘরে ভঙ্গিটি শনাক্ত করে ভঙ্গিটির নাম লেখো এবং ভঙ্গিটি কোন ক্রীড়াক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত তার নাম লেখো। ১ × ৬ = ৬
উত্তর-
(ক) পূর্ণধনুরাসন – যোগাসন
(খ) আদেশ ‘তেজ চল’ – কুচকাওয়াজ
(গ) আক্রমণাত্মক কৌশল কবাডি
(ঘ) এক হাতে কার্ট হুইল – জিমন্যাস্টিকস
(ঙ) পিরামিড – সমবেত ক্রীড়া
(চ) খালি হাতে ব্যায়াম – ক্যালিসথেনিকস
৩। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। ৪ × ২ = ৯
(ক) স্বাস্থ্যের উপর ব্যায়ামের প্রভাব বর্ণনা করো।
উত্তর- স্বাস্থ্যের উপর ব্যায়ামের প্রভাব বর্ণনা করো।
শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যায়ামের প্রভাব :
১. হূৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
২. ফুসফুসের আয়তন ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব:
১. উদ্বেগ ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে।
২. যে-কোনো পরিবেশে ব্যক্তিকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা :
১. ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় ও ডায়াবেটিস হলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
২. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
(খ) মেদ ঝরাতে কী কী করতে হবে লেখো।
উত্তর-
(১) শিশুদের খিদে পেলে তবেই খেতে দিতে হবে তবে এককালীন বেশি করে না খাওয়া উচিত। প্রতিদিন চারবেলা খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। সকালে পেট ভরে খাদ্য গ্রহণ করা উচিত তাহলে সেই ক্যালোরি সারাদিনে কাজ করবার সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়ম করতে হবে ফলে অতিরিক্ত মেদ শরীরে জমা হবে না। দুপুর, সন্ধে ও রাতে হাল্কা ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। রাত্রে খাদ্য গ্রহণের পর অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটা উচিত।
(২) অধিক পরিমাণ শাকসবজি খেতে হবে এবং স্নেহজাতীয় খাদ্য, মাছমাংস যথাসম্ভব কম বা প্রয়োজনমতো খেতে হতে।
(৩) প্রতিদিন ৪০-৬০ মিনিট ধরে ঘাম ঝরানো ব্যায়াম করতে হবে।
(৪) মিষ্টি জাতীয় খাবার, ফাস্টফুড, রাস্তায় তৈরি খাবার ও অতিরিক্ত তেল-ঝাল মশলাযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে।
(৫) খেলাধুলা-ব্যায়াম শরীরচর্চায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হবে।
উপরের Model Activity Task Class 7 Part 7 এর পুরোটাই সম্পূর্ণ ভাবে প্রশ্ন উত্তর সহ আলোচনা করা হয়েছে। তোমাদের এই Model Activity Task Class 7 Part 7 কেমন লাগলো সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিও। কারণ তোমাদের মূল্যবান কমেন্ট আমাদের নতুন কাজ করতে উৎসাহিত করে।
এটি তোমাদের পুজোর পর স্কুল খোলা হলে জমা দিতে বলা হতে পারে। তাই জন্য এটা অবশ্যই তোমার বন্ধুদের সাথে Whatsapp, Facebook ইত্যাদিতে শেয়ার করে দিও।
বিগত দিনের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক