MCQ প্রশ্ন

[ NEW ] WBBSE Class 10 MCQ Adaptation Package Bengali | দশম শ্রেণী বাংলা বহুবিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন 2021 সমাধান | Free

আমাদের প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা এই পোস্টে আমরা অক্টোবর মাসে WBBSE Class 10 MCQ Adaptation Package Bengali তে যে MCQ প্রশ্ন গুলি দেওয়া হয়েছিল তা উত্তর সহ আলোচনা করা হল । তোমরা এখান থেকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেখতে পারবে।

আমাদের ওয়েবসাইট Amartarget.com এ সবসময় যেকোনো শ্রেণীর MCQ Adaptation Package খুব দ্রুততার সাথে আপলোড করা হয়ে থাকে । পরবর্তী WBBSE Class 10 MCQ Adaptation Package Bengali সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল, ফেইসবুক পেজ Join করে রাখো।

এই পোস্টে শুধুমাত্র Class 10 এর বাংলা বিষয়টির MCQ প্রশ্ন – উত্তর দেওয়া হয়েছে। অন্য বিষয় দেখার জন্য নিচের বিষয়ে ক্লিক করো।

new গণিত : Click Here

new ভূগোল : Click Here

new ভৌতবিজ্ঞান : Click Here

new ইংরেজি : Click Here

new ইতিহাস : Click Here

new জীবন বিজ্ঞান : Click Here

WBBSE Class 10 MCQ Adaptation Package Bengali

Table of Contents

বাংলা বিষয়ের ৩৫ টি MCQ প্রশ্ন

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন : পরিচিতি ও অনুশীলন

বাংলা

দশম শ্রেণি

ভাগ ১ – নীচে দেওয়া অংশটি পড়ো :

টুনটুনি পাখি তার বাসা তৈরি করার আগে দুটি কি তিনটি পাতা সেলাই করে একটা বাটির মতো তৈরি করে; তার মধ্যে নরম ঘাস পাতা দিয়ে সে তার বাসাটি বানায়। সেলাইয়ের সুতো সাধারণত রেশমেরই ব্যবহার করে। কাছে রেশম না থাকলে যে সুতো পায় তাই দিয়ে করে। সেলাইয়ের ছুঁচ হল তার সরু ঠোট জোড়া। বাসাটা অনেকটা দোলনার মতো ঝুলতে থাকে। খুব ছোটো জাতের পাখিরা হিংস্র জন্তু আর সাপ গিরগিটির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবার জন্যে প্রায়ই ঐরকম দোলনার মতো বাসা তৈরি করে থাকে। অনেক জাতের পাখি আবার মাটিতেই বাসা করে; গাছে বাসা তারা পছন্দই করে না।

তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বাসা তৈরিই করে না। নিজেরা গাছের আড়ালে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকে আর মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে ডিম পাড়ে। মোরগ, তিতির, পেরু এরা সবই এই জাতের। আবার কোনো কোনো পাখি সুন্দর করে লতা পাতা দিয়ে কুঞ্জবনের মতো বানায়। অস্ট্রেলিয়া দেশের ‘কুঞ্জ-পাখি’ (Bower bird) তার বাসার সামনে খুব সুন্দর লতা-কুঞ্জ তৈরি করে। পাখিটি আকারে ছোটো বটে, কিন্তু কুঞ্জটি কিছু ছোটো হয় না। এদের আবার রংচঙে জিনিসের বড়ো শখ; ভাঙা কাচ, পাথর, রঙিন জিনিস, যা সামনে পাবে সব এনে বাসার চারিদিকে সাজিয়ে রাখবে।

কোনো কোনো পাখি থুতু দিয়ে বাসা তৈরি করে। তালচোঁচ পাখি এই জাতের। পালক, ঘাস এসব জিনিস থুতু দিয়ে জোড়া লাগিয়ে তার বাসা তৈরি হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া দ্বীপপুঞ্জে এক জাতের তালচোচ আছে, তারা কেবলই থুতু দিয়ে নিজেদের বাসা বানায়। চীন দেশে এ বাসার খুব আদর; তারা এর ঝোল বানিয়ে খায়। এইজন্য সে দেশে এর দামও খুব বেশি।

অনেক জাতের পাখি কাদা দিয়েও তাদের বাসা বানায়। আফ্রিকার ফ্লামিঙ্গোর বাসা কাদার তৈরি। একটা ঢিপির মতো কাদা সাজিয়ে তার মাঝে একটা গর্ত করে ফ্লামিঙ্গো ডিম পাড়ে। আরো অনেক জাতের পাখিও কাদার বাসা বানায়, তাদের অধিকাংশই আফ্রিকার।

তোমরা অনেকেই বোধহয় কাঠ-ঠোকরা দেখেছ। এরা ঠোঁট দিয়ে ঠোকর মেরে গাছের গায়ে গর্ত করে তার ভিতর বাসা বানায়। দুষ্টু ছেলেরা ছানা চুরি করার লোভে কাঠ-ঠোকরার বাসার গর্তে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে অনেক সময় সাপের কামড় খায়, কারণ সাপেরা কাঠ-ঠোকার বাসা ডাকাতি করে অধিকার করতে বড় পটু।

নীচের দেওয়া প্রশ্নগুলির ঠিক উত্তরটিতে গোল দাগ দাও।

1. ছোটো ছোটো পাখিরা দোলনার মত বাসা তৈরি করে

A) আরাম পাওয়ার জন্য

B) বাচ্চাদের সুবিধার জন্য

C) সরু ডালে বাসা তৈরির কারণে

D) হিংস্র জন্তুদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য

Ans: D) হিংস্র জন্তুদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য

2. মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে ডিম পাড়ে যে পাখিরা তাদের অন্যতম

A) টুনটুনি

B) গাঙচিল

C) তিতির

D) শালিক

Ans: C) তিতির

3. তালচোঁচ পাখির বৈশিষ্ট্য

A) তারা ভাঙা কাচ পাথর দিয়ে বাসা তৈরি করে

B) তারা থুতু দিয়ে বাসা তৈরি করে

C) তারা তালপাতা দিয়ে বাসা তৈরি করে

D) তারা কোনো বাসা তৈরি করে না

Ans: B) তারা থুতু দিয়ে বাসা তৈরি করে

4. কাদা দিয়ে বাসা বানায় যে পাখিরা তাদের অধিকাংশই

A) আফ্রিকার

B) লাতিন আমেরিকার

C) অস্ট্রেলিয়ার

D) হিমালয় অঞ্চলের

Ans: A) আফ্রিকার

5. ‘পাখি’ শব্দটি একটি

A) তৎসম শব্দ

B) তদ্ভব শব্দ

C) দেশি শব্দ

D) বিদেশি শব্দ

Ans: B) তদ্ভব শব্দ

ভাগ ২-নীচে দেওয়া অংশটি পড়ো :

হুগলিতে অ্যানড্রজ সাহেবের ছাপাখানা বাংলাদেশে প্রথম মুদ্রণ-যন্ত্র। সচল হরফে প্রথম ছাপা এই যন্ত্রটি সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না। বরং তারপরে কলকাতায় বেশ কয়েকটি ছাপাখানা বসল এমনকী তেমনি এক ছাপাখানা থেকে জেমস অগাস্টাইন হিকির সাপ্তাহিক সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেটও বেরিয়েছিল ১৭৮০-র ২০ জানুয়ারি। এটি ছিল এদেশে ছাপা প্রথম সংবাদপত্র। তারপরে আরও কিছু সংবাদপত্র বেরুল, বইপত্রও কিছু প্রকাশিত হল কলকাতার নানা মুদ্রণ-যন্ত্র থেকে। তবু গুণেমানে বৈচিত্র্যে সকলকে ছাপিয়ে গেল শ্রীরামপুর। ছাপাখানার সবটুকু আলো গিয়ে পড়ল শ্রীরামপুরের ব্যাপটিস্ট চার্চ মিশন প্রেসের মুখে। মূলত উইলিয়ম কেরির সৌজন্যে। এই ছাপাখানা গড়া ও তার ব্যাপক সম্প্রসারণ ছাড়াও বাংলা গদ্য-সাহিত্য নির্মাণের গোড়ার যুগে তাঁর অবদান তা বাঙালি কোনোদিনই ভুলতে পারবে না।

 ইংরেজ শাসন যখন এদেশে শুরু হল তখন যেমন প্রশাসনের জন্যে লোক এল বিলেত থেকে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য করতে বা নেহাত কপাল ফেরাতেও অনেকে এদেশে এসেছিল। আর এসেছিল মিশনারির দল খ্রিস্টধর্ম প্রচার করতে। তেমনি এক মিশনারি উইলিয়ম কেরি ১৭৯৩তে এ দেশে এসেছিলেন সেকথা আগের অধ্যায়ে লেখা হয়েছে। কেরি সাহেব জীবিকার জন্যে এক সময়ে মালদহের মদনাবাটির নীলকুঠিতে কাজ করতেন। তাঁর মনিব জর্জ উডনি ছিলেন কেরি সাহেবের গুণগ্রাহী। কেরি সাহেব তখন বাইবেলের বাংলা অনুবাদ করছেন। সেই বাইবেল ছাপার জন্যে উডনি একবার কলকাতার নিলাম থেকে একটি কাঠের ছাপাখানা কিনে উপহার দিলেন কেরিকে। কেরি দ্বিগুণ উৎসাহে বাইবেলের বাংলা করার কাজ করে যেতে লাগলেন।

এদিকে ভাগ্য বিপর্যয়ে উডনি একসময়ে মদনাবাটির নীলকুঠি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন। কেরিসাহেব ওরই কাছাকাছি খিদিরপুর গাঁয়ে একটি ছোটো নীলকুঠি কিনে সেখানে ছাপাখানা বসালেন। এই সময়ে কেরি সাহেবের বিলেতের মিশনের চারজন মিশনারি এদেশে এলেন। ইয়োরোপে তখন ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল। গুপ্তচর সন্দেহ করে কলকাতার ইংরেজ প্রশাসকেরা তাদের কলকাতায় নামতে দিল না। তাঁরা দিনেমারদের অধীন শ্রীরামপুরে চলে এলেন ১৭৯৯-এর ১৩ অক্টোবর। কেরি সাহেবের কাছে খবর গেল। তিনি তাঁর সকল সম্পত্তি বেচে নৌকোয় চাপলেন, সঙ্গে রইল তার সাধের ছাপাখানাটি। ১৮০০ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি পৌঁছলেন শ্রীরামপুরে। ওই দিনই মিশন প্রেসের প্রতিষ্ঠা হল।

 নীচের দেওয়া প্রশ্নগুলির ঠিক উত্তরটিতে গোল দাগ দাও।

6. এদেশে ছাপা প্রথম সংবাদপত্র ছিল

(A) বেঙ্গল গেজেট

B) সমাচার দর্পণ

C) অমৃতবাজার

D) দিগ্‌দর্শন

Ans: (A) বেঙ্গল গেজেট

7. কেরিসাহেব কাজ করতেন

A) সেরেস্তায়

B) নীলকুঠিতে

C) মহাফেজখানায়

D) সেনাবাহিনীতে

Ans: B) নীলকুঠিতে

8. উইলিয়ার কেরি তাঁর নিজস্ব নীলকুঠি কিনে দিলেন

A) খড়দহে

B) দমদমে

C) খিদিরপুরে

D) বনগ্রামে

Ans: C) খিদিরপুরে

9. কেরি সাহেব তখন বাইবেলের বাংলা অনুবাদ করেছেন, রেখাঙ্কিত পদটি হলো

A) কর্মকারক

B) সম্বন্ধ পদ

C) অধিকরণ কারক

D) নিমিত্ত কারক

Ans: A) কর্মকারক

10. ‘সংবাদপত্র’ শব্দটি যে সমাসের উদাহরণ

A) উপমান কর্মধারয়

B) মধ্যপদলোপী কর্মধারয়

C) দ্বন্দ্ব

D) মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি

Ans: B) মধ্যপদলোপী কর্মধারয়

ভাগ ৩- নীচে দেওয়া অংশটি পড়ো :

পুতুলের কারিগর আর তাদের খেলা দেখান যাঁরা তাঁদের পুতুল-নাচিয়ে বলা হয়। এঁদের কাহিনী প্রণয়নে আর পুতুলদের দিয়ে খেলা দেখানোয় বিশেষ নিপুণ হওয়া দরকার। একজন পুতুল-নাচিয়ে বহু রকমের খেলা দেখাতে পারেন।

পুতুল-নাচিয়ে ধীরে ধীরে মানুষের মনের কথা আর অন্তরের ভাব বুঝবার চেষ্টা করবেন। পুতুল নাচের খেলা দেখানো থেকে কেবলমাত্র পুতুল-নাচিয়েই শেখেন তা নয়, দর্শকরাও এ থেকে কত কি যে শিক্ষা লাভ করেন তার ইয়ত্তা নেই। দেখা আর শোনার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক শিক্ষা লাভ করেন, তাই এ কথা বলা খুবই সঠিক হবে যে পুতুল নাচ শিক্ষাদানের একটি খুব উপযোগী দৃশ্য-শ্ৰব্য (Audio-Visual) সাধনও বটে।

 যুগ যুগ ধরে ধর্মপ্রচারকেরা পুতুল নাচের ভিতর দিয়ে ধর্ম কথা আর উপদেশ মানুষের মনে পৌঁছে দিয়েছেন। পুতুলের অভিনয় আর গল্পের ভিতর দিয়ে আজ একজন নিরক্ষর ধর্মগ্রন্থের মর্ম শিখতে পারেন। তার উপর আজকের যুগ বিজ্ঞানের যুগ। পুতুল নাচের সাহায্যে আজকাল বিজ্ঞানের কথাগুলি অনেক সহজে মানুষকে বলা সম্ভব হচ্ছে।

পুতুল নাচের রঙ্গমঞ্জ স্বাস্থ্য, কৃষি, সাক্ষরতা, আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শিক্ষাদানে আশ্চর্যজনক সাফল্য আনতে পারে। এমন কোনো বিষয়ই নেই যা কিনা এই ক্ষুদে ক্ষুদে পুতুলদের দিয়ে না শেখানো যায়। এই পুতুলেরা নাচে, গায়, আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে আবার রাগে ঠিকরে পড়ে— কিন্তু তার সকল অভিব্যক্তিই সমাজের কল্যাণ আর তার ভিতর থেকে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে থাকে।

পুতুল-নাচিয়ে ধীরে ধীরে মানুষের মনের কথা আর অন্তরের ভাব বুঝবার চেষ্টা করবেন। পুতুল নাচের খেলা দেখানো থেকে কেবলমাত্র পুতুল-নাচিয়েই শেখেন তা নয়, দর্শকরাও এ থেকে কত কি যে শিক্ষা লাভ করেন তার ইয়ত্তা নেই। দেখা আর শোনার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক শিক্ষা লাভ করেন, তাই এ কথা বলা খুবই সঠিক হবে যে পুতুল নাচ শিক্ষাদানের একটি খুব উপযোগী দৃশ্য-শ্ৰব্য (Audio-Visual) সাধনও বটে।

যুগ যুগ ধরে ধর্মপ্রচারকেরা পুতুল নাচের ভিতর দিয়ে ধর্ম কথা আর উপদেশ মানুষের মনে পৌঁছে দিয়েছেন। পুতুলের অভিনয় আর গল্পের ভিতর দিয়ে আজ একজন নিরক্ষর ধর্মগ্রন্থের মর্ম শিখতে পারেন। তার উপর আজকের যুগ বিজ্ঞানের যুগ। পুতুল নাচের সাহায্যে আজকাল বিজ্ঞানের কথাগুলি অনেক সহজে মানুষকে বলা সম্ভব হচ্ছে।

পুতুল নাচের রঙ্গমঞ্জ স্বাস্থ্য, কৃষি, সাক্ষরতা, আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শিক্ষাদানে আশ্চর্যজনক সাফল্য আনতে পারে। এমন কোনো বিষয়ই নেই যা কিনা এই ক্ষুদে ক্ষুদে পুতুলদের দিয়ে না শেখানো যায়। এই পুতুলেরা নাচে, গায়, আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে আবার রাগে ঠিকরে পড়ে— কিন্তু তার সকল অভিব্যক্তিই সমাজের কল্যাণ আর তার ভিতর থেকে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে থাকে।

যে মুহূর্তে পুতুলগুলির রঙ্গমঞ্চে আবির্ভাব হয়, আর তারা নাচতে, অভিনয় করতে শুরু করে, অমনি বহুদিনের সংকীর্ণতা আর অন্ধ ধারণার আবদ্ধ কবাটগুলি একে একে ভেঙে পড়ে। নরনারীর হৃদয় তাকে স্বাগত করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়।

নীচের দেওয়া প্রশ্নগুলির ঠিক উত্তরটিতে গোল দাগ দাও।

11. পুতুল নাচিয়েকে পুতুলের খেলা দেখানোর সঙ্গে আর যা শিখতে হয়

A) ভোজবাজি

B) গল্প রচনা

C) আলোর মায়াজাল

D) অভিনয়

Ans: D) অভিনয়

12. পুতুল নাচের মাধ্যমে

A) ধর্মশিক্ষা দেওয়া হয়

B) লোকশিক্ষা দেওয়া হয়

C) জটিল বিষয়কে সহজভাবে বলা হয়।

D) মানুষকে বিনোদন দেওয়া হয়

Ans: A) ধর্মশিক্ষা দেওয়া হয়

13. পুতুল নাচ-এ নাচের সঙ্গে থাকে

A) গান

B) অভিনয়

C) গান ও অভিনয়

D) নানা শারীরিক কৌশলের প্রদর্শন

Ans: C) গান ও অভিনয়

14. পুতুল নাচের মূল লক্ষ

A) মানুষকে লোকসংস্কৃতি বিষয়ে সচেতন করা

B) গ্রামীণ কৃষিজীবনের প্রচার

C) কৃষ্ণ কথার প্রচার

D) সমাজ কল্যাণ ঘটানো

Ans: B) গ্রামীণ কৃষিজীবনের প্রচার

15. ‘স্বাগত’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ হল

A) সু + আগত

B) স্ব+ আগত

C) স্ব + গত

D) স্বাগম্ + ত

Ans: A) সু + আগত

ভাগ ৪ – নীচে দেওয়া অংশটি পড়ো :

চতুর্দশ শতকের মাঝামাঝি ইউরোপ যে মোটামুটিভাবে চশমার সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠেছিল সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। ১৩৫২ সালের একটি পুঁথির অলংকরণে দেখা যায় একজন যাজকের চোখে চশমা, আর তাঁর সামনে খোলা রয়েছে একটি ধর্মগ্রন্থ। তার মানে এই নয় যে, চশমা সেদিন রাম-শ্যাম-যদু ওরফে টম-ডিক-হ্যারি, সকলের চোখে। প্রথম দিকে চশমা অবশ্যই শস্তা ছিল না। পুঁথি ও পড়ুয়ার সংখ্যাও ছিল বেশ কম। চশমা, বলতে গেলে তখন রীতিমতো এক মহার্ঘ বিলাসদ্রব্য।

চশমার ব্যবহার ধীরে ধীরে সর্বজনীন হয়ে ওঠে। আসলে ছাপাখানার আবির্ভাবের পর, ইউরোপের প্রথম মুদ্রিত বই গুটেনবার্গের বাইবেল প্রকাশিত হয় পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি। তার এক দশকের মধ্যেই দেখা যায় চশমা পৌঁছে গেছে স্ট্রাসবুর্গে, পরবর্তী দশকে নুরেমবার্গে, পরের শতকের মাঝামাঝি ফ্রাঙ্কফুর্টে এবং তারপর ক্রমে ইউরোপময়। সপ্তদশ শতকে ইংল্যান্ডের হাটে-বাজারে যাঁরা চশমা ফেরি করতেন, তাঁরা হাঁক দিতেন – “শস্তা! শস্তা। ইউরোপিয়ান চশমা!” –

যখন চশমা ছিল না তখন ক্ষীণদৃষ্টি পাঠকের মনের ক্ষুধার তৃপ্তির জন্য নির্ভর করতে হত অন্যের উপর। প্রাচীন গ্রিস এবং রোমে অসহায় প্রভুকে বই পড়ে শোনাতেন ক্রীতদাসরা। শুধু চশমার অভাব নয়, মধ্যযুগের পৃথিবীতে পড়ুয়ার অন্য সমস্যাও ছিল। যাঁদের দৃষ্টিশক্তি যথেষ্ট, তাঁদের পক্ষেও রাত্রে লেখাপড়া করা সহজ ছিল না।

শুধু লেখাপড়া কেন, সূর্যাস্তের পর সব কাজই কঠিন। তা ছাড়া, শীতে সূর্যের আলোরও বড়ই অভাব। সুতরাং, সকলকেই সব কাজ সারার চেষ্টা করতে হত দিনের বেলায়। কারণ রাত্রে, মোমবাতি ছাড়া অন্য কোনও আলো নেই। মোম শস্তা নয়। মোম অসাবধানের ফলে বিপর্যয়ও ডেকে আনতে পারে। তেলের আলো ইউরোপ পেয়েছে উনিশ শতকের শেষ দিকে। গ্যাস-বাতি আরও পরে। সুতরাং, কালিদাস কিংবা শেক্সপিয়ার, রাত্রে যদি এঁরা কিছু লিখে থাকেন তবে অবশ্যই তা লিখতে হয়েছে অনুজ্জ্বল আলোতে। অন্যভাবে বললে মায়াবি আলো-আঁধারি পরিবেশে।

নীচের দেওয়া প্রশ্নগুলির ঠিক উত্তরটিতে গোল দাগ দাও।

16. ইউরোপ চশমার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল

A) দ্বাদশ শতকে

B) ত্রয়োদশ শতকে

C) চতুর্দশ শতকে

D) পঞ্চদশ শতকে

Ans: C) চতুর্দশ শতকে

17. চশমা ব্যবহারের প্রথম যুগে তা ছিল

A) সন্দেহজনক বস্তু

B) বিলাসদ্রব্য

C) খেলনা সামগ্রী

D) শুধু রাজ পরিবারের জন্য

Ans: B) বিলাসদ্রব্য

18. প্রাচীন গ্রীস ও রোমে ক্ষীণদৃষ্টির প্রভুকে বই পড়ে শোনাতেন

A) তার ছাত্ররা

B) তার শিষ্যরা

C) ক্রীতদাসরা

D) গ্রন্থাগারের কর্মিরা

Ans: C) ক্রীতদাসরা

19. প্রথম যুগে রাতে পড়াশোনার করতে হতো

A) মোমের আলোয়

B) তেলের আলোয়

C) গ্যাসের আলোয়

D) চাদের আলোয়

Ans: A) মোমের আলোয়

20. ‘চশমা’ শব্দটি একটি

A) ফরাসি শব্দ

B) তুর্কি শব্দ

C) সংস্কৃত শব্দ

D) দেশি শব্দ

Ans: (A) ফরাসি শব্দ

ভাগ ৫ নীচে দেওয়া অংশটি পড়ো :

আর্যরা যখন ভারতে প্রবেশ করে তখন তারা যে ভাষায় কথা বলত তার নাম দেওয়া হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় আর্য। এই ভাষা সচল ছিল এক হাজার বছর, ভাষাতাত্ত্বিকদের হিসেবমতো আনুমানিক খ্রি-পৃ ১৫০০ থেকে থ্রি-পৃ ৬০০ পর্যন্ত। এই সময় তাদের ভাষা কেমন ছিল তা জানার জন্য আমাদের তাকাতে হবে বেদের ভাষার দিকে। বেদের ভাষা নিশ্চয় তাদের মুখের ভাষারই একটি মার্জিত রূপ। তাই প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার সাধারণ নাম বৈদিক। এরও অবশ্য রকমফের ছিল, ছিল অনেক আঞ্চলিক বিভিন্নতা। বৈদিক ভাষা মুখের ভাষা হিসাবে ব্যবহৃত হতে হতে অনেক ক্ষেত্রে বাহুল্য ও জটিলতা পরিহার করে হয়ে গিয়েছিল সহজ, সাবলীল ও অনাড়ম্বর। এই সরল আড়ম্বরহীন কথ্য ভাষাকে সুসংস্কৃত ও মার্জিত করে একটি নতুন রূপ দেওয়া হল অর্বাচীন বৈদিকদের যুগে বা তার কিছু পরে। এরই নাম সংস্কৃত ভাষা।

এরপর যে ভাষান্তর এল, অর্থাৎ মধ্যভারতীয় আর্যভাষার শেষ স্তর থেকে যে-ভাষা বিবর্তিত হল তার ভাষাতাত্ত্বিক নাম নব্যভারতীয় আর্যভাষা বা New Indo-Aryan যার বিবর্তনকাল আনুমানিক ১০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে। এই সময় পূর্বোক্ত অপভ্রংশ প্রাকৃত থেকে নানান আঞ্চলিক ভাষার উদ্ভব হতে থাকে। এইভাবেই বিবর্তিত হয়েছে, গুজরাতি, মারাঠি, পাঞ্জাবি, হিন্দি, ওড়িয়া, অসমিয়া এবং অবশ্যই আমাদের বাংলা। অপভ্রংশ প্রাকৃতের পরবর্তী একটা স্তরকে পণ্ডিতেরা বলেন অবহট্ঠ। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার সেন প্রভৃতির মতে এই অবহট্ঠ ভাষাই পরিবর্তিত হয়ে রূপলাভ করেছে বাংলা ভাষায়। বাংলা ভাষার উদ্ভব খ্রিস্টীয় দশম-একাদশ শতকেই হয়েছিল বলে এখন পর্যন্ত পণ্ডিতরা মনে করেন। এবং সাধারণভাবে এও মনে করেন, চর্যাগীতি বা চর্যাপদই বাংলা ভাষার প্রাচীনতম লিখিত নিদর্শন। সংক্ষেপে এই হল বাংলা ভাষার উদ্ভবের ইতিহাস।

নীচের দেওয়া প্রশ্নগুলির ঠিক উত্তরটিতে গোল দাগ দাও।

21. প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার দৃষ্টান্ত

A) বৈদিক ভাষা

B) প্রাকৃত ভাষা

C) দ্রাবিড় ভাষা

D) বাংলা ভাষা

Ans: A) বৈদিক ভাষা

22. প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে মধ্যভারতীয় আর্যভাষার উদ্ভব ঘটে

A) খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে

B) খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে

C) ষষ্ঠ খ্রিস্টাব্দে

D) দশম খ্রিস্টাব্দে

Ans: D) দশম খ্রিস্টাব্দে

23. ভারতীয় আর্যভাষার স্তরবিভাজন

A) দুটি

B) তিনটি

C) পাঁচটি

D) দশটি

Ans: B) তিনটি

24. বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন

A) বৈষ্ণব পদ

B) চর্যাপদ

C) শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন

D) বেদ

Ans: B) চর্যাপদ

25. ‘আর্যভাষা’ শব্দটির প্রকল্প হলো

A) মধ্যপদলোপী কর্মধারয়

B) সম্বন্ধ তৎপুরুষ

C) সাধারণ কর্মধারয়

D) দ্বন্দ্ব

Ans: B) সম্বন্ধ তৎপুরুষ

ভাগ ৬ – নীচে দেওয়া অংশটি পড়ো

এইখানে একটা কথা বলে রাখি। অক্ষরে অক্ষরে মিলন ঘটিয়ে, যুক্তাক্ষরের মায়া সৃষ্টি করে, মাত্রা কমাতে মজা লাগে, বলাই বাহুল্য। কিন্তু মজা লাগে বলেই যে প্রতি পদে এইভাবে মিলন ঘটাতে হবে, তা কিন্তু ঠিক নয়। এ-সব সেয়ানা কৌশল বার বার খাটালে এর চমকটাই আর থাকে না, পাঠকও বিরক্ত বোধ করেন। আর তা ছাড়া, কবিতার মধ্যে এই ধরনের মিলনের বাড়াবাড়ি ঘটলে ছন্দ-অনুসরণেও তাঁর অসুবিধে ঘটে। লক্ষ রাখতে হবে, কবিতার ছন্দের মধ্যে পাঠক যেন বেশ স্বচ্ছন্দে ঢুকতে পারেন; তারপর ভিতরে ঢুকে যখন কিনা বেশ অনায়াসে তিনি চলাফেরা করে বেড়াচ্ছেন, তখন বরং এই ধরনের এক-আধটা চমক লাগিয়ে দেওয়া যেতে পারে, সেটা তাঁর ভালই লাগবে।

আর-একটা কথা এই যে, লাইনের যে-কোনও জায়গায় কিন্তু এইভাবে অক্ষরে-অক্ষরে মিলন ঘটানো সম্ভবও নয়। অক্ষরবৃত্তের যে একটা চার-মাত্রার ছোটো চাল আছে, সেই চালের পর্বের মধ্যেই মিলনটাকে ঘটিয়ে দেওয়া ভালো। মিলন ঘটাতে গিয়ে যদি পর্বের বেড়া ডিঙিয়ে যাই, তাতে বিপদ ঘটতে পারে। ঘটেও।

এবারে একটা জরুরি কথা বলি। কবিতা লিখতে গিয়ে লক্ষ রাখতে হবে, শব্দের উচ্চারণ আর ছন্দের চাল, এ দুয়ের মধ্যে যে ঠিকঠাক সমন্বয় ঘটে। অর্থাৎ ছন্দের চাল ঠিক রেখে কবিতা পড়তে গিয়ে যেন দেখতে না পাই যে, ছন্দের খাতিরে শব্দের শরীরকে এমন-এমন জায়গায় ভাঙতে হচ্ছে, যেখানে তাদের ভাঙা যায় না। আবার শব্দের সঠিক উচ্চারণের খাতিরে ছন্দের

চাল যেন বেঠিক জায়গায় না ভাঙে। বেঠিক জায়গায় চাল ভাঙলে ছন্দের নাভিশ্বাস উঠবে। এই বিভ্রাট যদি এড়াতে হয় তা হলে ছন্দের চাল আর শব্দের উচ্চারণ, এই দুইয়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা চাই।

নীচের দেওয়া প্রশ্নগুলির ঠিক উত্তরটিতে গোল দাগ দাও।

26. কবিদের ‘যোজনা কৌশল’ হল।

A) অন্ত্যমিল সৃষ্টি

B) যুক্তাক্ষরের মায়া সৃষ্টি

C) উপমা ব্যবহার

D) আগন্তুক শব্দের ব্যবহার

Ans: B) যুক্তাক্ষরের মায়া সৃষ্টি

27. কবিকে লক্ষ রাখতে হবে পাঠকরা যেন

A) ছন্দের মধ্যে অনায়াসে ঢুকতে পারে

B) কবিতার অর্থ বুঝতে পারে

C) কবিতাকে পাঠযোগ্য মনে করে

D) কবিতার অলংকারগুলো বুঝতে পারে

Ans: A) ছন্দের মধ্যে অনায়াসে ঢুকতে পারে

28. কবিতা লেখার জন্য যে সমন্বয় জরুরি

A) শব্দ আর অন্ত্যমিল

B) অক্ষরে অক্ষরে মিলন

C) শব্দের উচ্চারণ আর ছন্দের চাল

D) কল্পনা আর জীবন

Ans: C) শব্দের উচ্চারণ আর ছন্দের চাল

29. ‘সৃষ্টি’ শব্দটির গোড়ায় যে ধাতুটি আছে

A) সৃষ্

B) সৃজ

C) সৃস

D) সৃ

Ans: A) সৃষ্

30. ‘উচ্চারণ’ শব্দটির মধ্যে যে ধ্বনি পরিবর্তন দেখা যায়

A) সমীভবন

B) বিষমীভবন

C) স্বরসঙ্গতি

D) ব্যঞ্জনাগম

Ans: A) সমীভবন

নীচের দেওয়া প্রশ্নগুলির ঠিক উত্তরটিতে গোল দাগ দাও।

31. স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-এ একজন ছাত্র সর্বোচ্চ ঋণ পেতে পারে

A) ৫ লক্ষ টাকা

B) ৭ লক্ষ টাকা

C) ১০ লক্ষ টাকা

D) ১৫ লক্ষ টাকা

Ans: C) ১০ লক্ষ টাকা

32. স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-এ আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা

A) ১৮ বছর

B) ২০ বছর

C) ৩৭ বছর

D) ৪০ বছর

Ans: D) ৪০ বছর

33. স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য পরিবারের সর্বোচ্চ বার্ষিক আয় হতে হবে

A) দু’লক্ষ টাকা

B) পাঁচ লক্ষ টাকা

C) দশ লক্ষ টাকা

D) কোনো সর্বোচ্চ সীমা নেই

Ans: D) কোনো সর্বোচ্চ সীমা নেই

34. নীচে উল্লেখ করা সংস্থাগুলির মধ্যে যেখান থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ পাওয়া যায় না

A) সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক

B) গ্রাম পঞ্চায়েত

C) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক

D) বেসরকারি ব্যাঙ্ক

Ans: B) গ্রাম পঞ্চায়েত

35. স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে নেওয়া ঋণ পরিশোধের সময়কাল

A) ৫ বছর

B) ১০ বছর

C) ১৫ বছর

D) ২০ বছর

Ans: C) ১৫ বছর

এখানে শুধুমাত্র Class 10 এর বাংলা বিষয়টির MCQ প্রশ্ন- উত্তর দেওয়া হয়েছে। অন্য বিষয় দেখার জন্য নিচের থেকে তোমার বিষয়টি বেছে নাও।

new গণিত : Click Here

new ভূগোল : Click Here

new ইংরেজি : Click Here

new ভৌত বিজ্ঞান : Click Here

new ইতিহাস : Click Here

new জীবন বিজ্ঞান : Click Here

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!